শুভব্রত মুখার্জি: কথায় আছে বয়সটা একটা সংখ্যামাত্র। যত দিন যাচ্ছে সেই কথাটাই যেন ক্রিকেটের ২২ গজে নেমে বারবার প্রমাণ করছেন ইংল্যান্ডের দুই তারকা পেসার। জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রড এই দুই পেসারের যুগলবন্দি তাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন আরও বেশি বিপদজনক হচ্ছে। বিপক্ষের ব্যাটারদের এই দুই পেসারের সামনে পড়লেই যেন ত্রাহি ত্রাহি রব অবস্থা। ওভালের চলতি তৃতীয় টেস্টে সেটাই যেন ফের একবার দেখিয়ে দিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। রবিনসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ধরাশায়ী করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের। আর সঙ্গে সঙ্গেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে গড়ে ফেললেন আরও এক নজির। স্বদেশীয় জেমস অ্যান্ডারসনের পরে এখন পেসারদের মধ্যে গ্লেন ম্যাকগ্রাথের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক।
ব্রডের কেরিয়ার বেশ চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কখনও ব্যাটারের কাছে বেদম মার খেতে হয়েছে। আবার পরের ম্যাচেই ফিরে এসেছেন রাজকীয় ভঙ্গিমায়। ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপে যেভাবে ব্যাটার যুবরাজের রোষের হাতে পড়েছিলেন তিনি তাতে অন্য কোনও বোলার হলে তার কেরিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারত। এক ওভারে ব্রডকে ছয় ছক্কা হাঁকান যুবরাজ। সেই সব এখন অতীত। ব্রড যেন এখন 'কামব্যাক কিং'।
শনিবার ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া দল ১১৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। রবিনসন নেন পাঁচটি উইকেট। ১২.২ ওভার বল করে মাত্র ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড। আর সঙ্গে সঙ্গেই স্পর্শ করে ফেলেন গ্লেন ম্যাকগ্রাথকে। টেস্ট ইতিহাসে এখন ব্রড পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। উল্লেখ্য ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ-২ প্রয়াত হওয়ার কারণে গোটা দ্বিতীয় দিন কোনও খেলাই হয়নি। আর তৃতীয় দিনের শুরুতেই রবিনসন-ব্রড জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয় প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডার।
প্রথম দিনে বৃষ্টির কারণে একটি বলও খেলা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দিন বিশ্রাম থাকায় কার্যত তৃতীয় দিনেই প্রথম বল খেলা সম্ভব হয়েছে। শনিবার রায়ান রিকেলটন (১১), খায়া জন্ডো (২৩), কেশব মহারাজ (১৮) এবং এনরিক নরখিয়াকে (৭) প্যাভিলিয়নে ফেরান ব্রড। ফলে তার টেস্টে উইকেট সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৬৩। গ্লেন ম্যাকগ্রাথের টেস্টে রয়েছে ৫৬৩টি উইকেট। ৫৬৩ উইকেট নিতে ব্রড খেলেছেন ১৫৯টি টেস্ট। গড় ২৭.৮৪। সেখানে ম্যাকগ্রাথ সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছিলেন ১২৪ টেস্টে। গড় ২১.৬৪।