ড্রেসিংরুমে সেলিব্রেশনে নাচ-গান শুধু ক্রিকেটারদের নয়, সব খেলোয়াড়দেরই জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠের বাইরে চাপ কমাতে ক্রিকেটাররা গান শুনতে অভ্যস্ত। টিম বাসে হুল্লোড়ের সময় গান গাওয়াও ক্রিকেটারদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। মাঝে মাঝে খেলা থেকে দূরে থাকার সময় চ্যাট শোয়ে সঞ্চালকের অনুরোধ রাখতে ক্রিকেটারদের গান গাইতে শোনা গিয়েছে।
এগুলো যদি ক্রিকেটারদের গানের জগতের অতি স্বাভাবিক ছবি হয়ে থাকে, তবে ব্যতিক্রমও কিছু রয়েছে। ব্যাটিং করার সময় সবার মনোসংযোগ যখন বোলারের দিকে স্থির থাকে, তখন বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মতো ব্যতিক্রমী ক্রিকেটার ব্যাট করার সময় গুন গুন করে গান গাইতেন। গাভাসকরের মতো বিশেষজ্ঞও বীরুর এমন অভ্যাসের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে একদা বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। এবার রোহিত শর্মা এমন একটি ঘটনার কথা জানালেন অনুরাগীদের, যা শুনে হাসিতে ফেটে পড়াই স্বাভাবিক সবার।
বিসিসিআই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে সঞ্চালক হিসেবে মায়াঙ্ক আগরওয়াল মাঠের ও মাঠের বাইরের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং জুটি রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে। সেই আলোচনাতেই ওঠে গানের প্রসঙ্গ। মায়াঙ্ক ধাওয়ানকে একটি পঞ্জাবি গান গাইতে বলেন। গব্বর প্রত্যুত্তরে বলেন বিরাট কোহলি পঞ্জাবি গান ভালো গাইতে পারেন, তিনি মোটেও ভালো নন এই বিষয়ে। যদিও শেষমেশ দু-একটা কলি গাইতেই হয় ধাওয়ানকে, যা শেষ করার পর হাসিতে ফেটে পড়েন তিন তারকাই।
এর পরেই রোহিত শর্মা ২০১৫ সালের বাংলাদেশ সফরে মজাদার একটি ঘটনার হদিস দেন। হিটম্যান বলেন, ‘২০১৫ সালে বাংলাদেশে খেলতে গিয়েছিলাম। আমি প্রথম স্লিপে ফিল্ডিং করছিলাম। ধাওয়ান ছিল থার্ড স্লিপে। বোলার তখন বল করতে আসছে, এমন সময় ধাওয়ান উচ্চৈঃস্বরে গান গাইতে শুরু করে। ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালও অবাক হয়ে যায় হঠাৎ কোথা থেকে গানের আওয়াজ আসছে ভেবে। ঘটনাটা এখন শুনতে মজাদার মনে নাও হতে পারে। তবে সেই সময় আমরা কেউই হাসি আটকে রাখতে পারিন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।