ভারতের প্রাক্তন ওপেনার এবং মুম্বইয়ের রঞ্জি ট্রফি জয়ী দলের অধিনায়ক সুধীর নায়েক বুধবার প্রয়াত হন। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮। সুধীর নায়েক ১৯৭৪-৭৫ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে তিনটি টেস্ট এবং দু'টি ওডিআই খেলেছিলেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে দাদারে নিজের বাসভবনে পড়ে গিয়েছিলেন সুধীর নায়েক। এর পরে তাঁকে হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। প্রসঙ্গত বছর কয়েক আগে সুধীর নায়েকের স্ত্রী মারা যান। এর পরে তিনি নিজের বাসভবনে একাই থাকতেন। চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন সুধীর নায়েক। তাঁর বন্ধুরা এবং প্রাক্তন ক্রিকেটাররা নিয়মিত হাসপাতালে যেতেন তাঁক দেখতে, খোঁজখবর নিতে। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়।
আরও পড়ুন: IPL-এ চোটের ধাক্কা, করাতে হবে অস্ত্রোপচার, ODI WC থেকেই ছিটকে গেলেন কেন উইলিয়ামসন
সুধীর নায়েক ১৯৭৪-৭৫ সালের মধ্যে তিনটি টেস্ট ২৩.৫০ গড়ে ১৪১ রান করেছিলেন। এ ছাড়াও ২টি ওয়ানডে-তে ১৯ রানের গড়ে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সুধীর নায়েকের একটি সফল প্রথম-শ্রেণির ক্যারিয়ার রয়েছে। মুম্বই ক্রিকেটের তারকা সুধীর নায়েক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৮৫ ম্যাচে ৩৫.২৯ গড়ে ৪৩৭৬ রান করেছিলেন। যার মধ্যে সাতটি সেঞ্চুরি এবং ২৭টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোহলিকে ‘হারিয়ে’ বিশাল নজির শিখরের, IPL-র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী চাহালের
রঞ্জি ট্রফিতে বোম্বে (বর্তমানে মুম্বই) এর হয়ে ১৯৭৩-৭৪ সালে বরোদার বিরুদ্ধে অপরাজিত ২০০ রানের সর্বোচ্চ স্কোর করার পাশাপাশি ৪০.১০ গড়ে ২৬৮৭ রান করেছিলেন। তবে ১৯৭০-৭১ মরশুমে মুম্বইকে রঞ্জি ট্রফি জেতানো তাঁর সবচেয়ে বড় কীর্তিগুলির মধ্যে অন্যতম।
তিনি ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবের মালিক এবং কোচও ছিলেন, যেখান থেকে জাহির খান, ওয়াসিম জাফর এবং ভারতের বর্তমান বোলিং কোচ পরশ মামব্রের মতো তারকা তৈরি হয়েছিল। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে শহরের আইকনিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কিউরেটরও ছিলেন। এমন কী ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচ তিনি তৈরি করেছিলেন।