বুধবারই নিশ্চিত হয়ে যাবে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেরিয়ার কোন দিকে মোড় নেবে। এই মুহূর্তে তিনটি রাস্তা খোলা রয়েছে মহারাজের সামনে। প্রথমত, বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে মেয়াদ বাড়তে পারে সৌরভের। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় বোর্ড ছেড়ে আইসিসির দিকে পা বাড়াতে পারেন তিনি। তৃতীয়ত, ক্রিকেটের প্রশাসনিক আঙিনা তিন বছরের বিরতি নিতে হবে দাদাকে।
তবে তৃতীয় বিকল্পটা যে এই মুহূর্তে প্রাসঙ্গিক নয়, তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা, যেভাবে নিজের প্রশাসনিক কেরিয়ার শুরু করেছেন সৌরভ, তাতে তাঁর নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে সৌরভের ভবিষ্যৎ। হয় বিসিসিআই, নতুবা আইসিসি, কার্যত আদালতেই নির্ধারিত হয়ে যাবে কোন সংস্থার শীর্ষ পদে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
গতবছর অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন সৌরভ, এটা জেনেও যে লোধা কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী ৯ মাস পরেই শেষ হয়ে যাবে তাঁর মেয়াদ। সিএবি ও বিসিসিআই, দু'টি সংস্থায় প্রশাসক হিসেবে ৬ বছর কাজ করা হয়ে যাবে সৌরভের। ফলে ২৭ জুলাইয়ের পর তিন বছরের কুলিং-অফে যেতে হবে তাঁকে। একই কথা প্রযোজ্য সেক্রেটারি জয় শাহর ক্ষেত্রেও। তাঁর মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।
বিসিসিআই অবশ্য চাইছে যে, রাজ্য সংস্থার হিসাব বাদ দিয়ে সৌরভ ও জয় ভাতীয় বোর্ডে তাঁদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করুন। এই মর্মে তারা নিয়ম বদলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করেছে। সেই মামলার সুনানির দিন ধার্য হয়েছে বুধবার। শীর্ষ আদালত মামলার রায় জানাতে পারে এদিনই।
সুতরাং, বিসিসিআই সভাপতির পদে সৌরভের মেয়াদ বাড়ছে কিনা, তা স্পষ্ট হয়ে যেতে চলেছে বুধবারই। মেয়াদ বাড়লে সৌরভ থেকে যাবেন ভারতীয় বোর্ডের মসনদেই। নিতান্ত তাঁকে কুলং-অফে যেতে হলে আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন সৌরভ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।