ঘরের মাঠে ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয় ছিল নিঃসন্দেহে দলগত প্রচেষ্টার ফসল। তবে তার মাঝেও যুবরাজ, ভাজ্জি, গম্ভীরদের এবং ফাইনালে ধোনির অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই।
যদিও বিশ্বকাপ জয়ের আসল নায়ক হিসেবে সুরেশ রায়না কৃতিত্ব দিলেন সচিন তেন্ডুলকরকে, যিনি শুধু ব্যাট হাতে দলকে নির্ভরতাই দেননি, বরং অভিভাবক সুলভ দক্ষতায় পরিচালনা করেছিলেন টিম ইন্ডিয়াকে।
প্রথমত, কোহলির মতো তারকারা বিশ্বকাপ জয়ের পরেই জানিয়েছিলেন, সচিনের জন্যই তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলেন। বর্ণোজ্জ্বল কেরিয়ারে যদি বিশ্বকাপের ট্রফি অধরা থেকে যেত, তবে তেন্ডুলকরের কেরিয়ারবৃত্ত অসম্পূর্ণ থেকে যেত নিশ্চিত। সচিন তেন্ডুলকরই ভারতীয় দলকে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন বিশ্বকাপ জয়ের।
কয়েকদিন আগে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ জানান যে, বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনিকে উপরের দিকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ছিল সচিনের মস্তিষ্কপ্রসূত। সেদিন তেন্ডুলকরের এই সিদ্ধান্তই কীভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল, তা সবার জানা।
এবার রায়না বলেন, তেন্ডুলকরই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে বিশ্বাস জুগিয়েছিলেন যে, তাঁরাও বিশ্বকাপ জিততে পারেন। রায়না বলেন, ‘আমরা সচিনের জন্যই বিশ্বকাপ জিততে পেরেছিলাম। সচিনই দলের সবার মধ্যে বিশ্বাস জাগিয়েছিল যে, আমরাও পারি। ও ছিল দলের দ্বিতীয় কোচ।'
সচিন বিশ্বকাপে ৫৩.৫৫ গড়ে ৪৮২ রান করেছিলেন, যা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। যদিও ব্যাটে-বলে অনন্য অবদানের জন্য বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন যুবরাজ সিং।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।