১৫ অগস্ট সন্ধ্যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসর ঘোষণা যদি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত হয়, তবে সুরেশ রায়নার সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দেওয়া নিছক আবেগের বশে সন্দেহ নেই।
ধোনির অবসর নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছে। তাই তাঁর সরে দাঁড়ানো কিছুটা প্রত্যাশিত ছিল। তবে মাত্র ক'দিন আগেই জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করা রায়না হঠাৎ করে অবসর নিয়ে বসবেন, এটা ভবতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেটমহল। ভাবনা-চিন্তা হয়ত ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আসলে ধোনির ঘোষণা রায়নাকে আনুপ্রাণিত করে পিছুটান ছিঁড়ে ফেলতে।
রায়নার অবসর যে পরিকল্পিত ছিল না, সেটা বোঝা যায় বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতেই। ধোনির অবসর নেওয়ার প্রসঙ্গে ভারতীয় বোর্ড সরকারি সিলমোহর দিয়েছিল শনিবারই। তবে একই সঙ্গে সন্যাস নেওয়া রায়নাকে বিসিসিআই সরকারিভাবে প্রাক্তন ঘোষণা করে রবিবার।
বিসিসিআইয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রায়না রবিবার তাদের জানিয়েছে জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখার কথা। বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, ‘আক্রমণাত্মক বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার প্রসঙ্গ রবিবার সরকারিভাবে বিসিসিআইকে জানিয়েছে। একজন বিশ্বমানের ফিল্ডার, কার্যকরী বোলার রায়না ১৩ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে ভারতের হয়ে ১৮টি টেস্ট, ২২৬টি ওয়ান ডে ও ৭৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।’
পূর্ব পরিকল্পিত হলে অবসর ঘোষণার আগে বিসিসিআইকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাতেন রায়না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।