শুভব্রত মুখার্জি: অত্যন্ত খারাপ খবর এল সুরেশ রায়না এবং তার ভক্তদের জন্য। দীর্ঘদিন ক্যান্সার রোগের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে অবশেষে রবিবাসরীয় দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার সুরেশ রায়নার বাবা ত্রিলোকচাঁদ রায়না। একটা সময় রায়নার ক্রিকেট শেখার খরচ চালানোর জন্য যে লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছিলেন ত্রিলোকচাঁদ রায়না সেই তিনিই আজ হার স্বীকার করলেন ক্যান্সারের সামনে।
রবিবাসরীয় সকাল ভারতবাসীর জন্য শুরু হয়েছিল অত্যন্ত খারাপভাবে। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের পর তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবিবার টুইট পর্যন্ত করেছিলেন সুরেশ রায়না। কিন্তু এই টুইট করার পরে তিনি হয়ত স্বপ্নেও ভাবেননি একই দিনে বাবাকে হারাবেন তিনি। জাতীয় দলে রায়নার প্রাক্তন সতীর্থ হরভজন সিং এরপর টুইট করে জানান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রায়নার বাবা ত্রিলোকচাঁদ রায়না।
টুইটে হরভজন লেখেন 'রায়নার বাবা আর নেই। খবরটা শুনে অত্যন্ত দুঃখিত। কাকুর আত্মার শান্তি কামনা করি।' উল্লেখ্য ২০১১ সালে ভারতের যে দল ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সুরেশ রায়না। আর সেই দলেই চার সতীর্থ ছিলেন হরভজন সিং। বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডারের বাবা ত্রিলোকচাঁদ রায়নাকে শেষ কয়েকমাস ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে মরনবাচনের লড়াই চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে অবশেষে মারণব্যাধির কাছে তাকে হার স্বীকার করতে হল। গাজিয়াবাদে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত রায়নার বাবা জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তরপ্রদেশে সেনা আধিকারিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে বোমা তৈরির কাজও করেছেন। রায়নার পৈত্রিক গ্রাম জম্মু ও কাশ্মীরের রায়নাওয়াড়ি। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পন্ডিতদের হত্যার সময়ে রায়নার বাবারা পরিবার সহ গ্রাম ছেড়ে চলে আসতে বাদ্য হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পরিবার সহ রায়নারা মুরাদনগরের গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।