২৬ ডিসেম্বর থেকে টেস্ট সিরিজ শুরু হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হতে এখনও বেশ খানিকটা সময় বাকি আছে। তার আগে ক্লাব ক্রিকেটে দুরন্ত দ্বিশতরান করে সিরিজের প্রস্তুতি সারলেন ভারতের সীমিত ওভার বিশেষজ্ঞ সূর্যকুমার যাদব।
পুলিশ শিল্ডের ফাইনালে পার্সি জিমখানার হয়ে পায়াদি এসসির বিরুদ্ধে মেরিন ড্রাইভে পুলিশ জিমখানা মাঠে ১৫২ বল ২৪৯ রানের (২০০ রান করেন ১২২ বলে) দুর্ধর্ষ এক ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৩৭টি চার ও পাঁচটি ছক্কায়। তিনদিনের ম্যাচের প্রথম দিনে মধ্যাহ্নভোজ এবং চা বিরতির মাঝের সেশনেই ১০০-র অধিক রান করেন সূর্য। তাঁর ইনিংসের সুবাদেই মজবুত পজিশনে পার্সি জিমখানা।
নিজের ইনিংস সম্পর্কে TOI-কে শুক্রবার সূর্য বলেন, ‘মধ্যাহ্নভোজের পর আমি ব্যাট করতে নেমে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে খেলার জন্য সচেষ্ট ছিলাম। মাঠ ছোট হওয়ায় আমি সহজেই বাউন্ডারি মারতে পারছিলাম। সতীর্থরা সংবর্ধনা জানালে তখনই আমার ২০০ হয়েছে বুঝতে পারি। কোনো সিরিজের আগে যে কোনো ফাইনালে বড় রান করলেই ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’
মুম্বই আগেই বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে বাইরে হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচ খেলার সুযোগ পান সূর্যকুমার। এর আগে পরপর বেশ কয়েকটি ইনিংস ৩১ বছর বয়সী ভারতীয় তারকা তেমন রান পাচ্ছিলেন না। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ দুইটি টি-টোয়েন্টিতে এক ও শূন্য রান করার পর মুম্বইয়ের হয়ে বিজয় হাজারেতেও চার ইনিংসে যথাক্রমে ১৪, ৮, ৪৯ ও ৪ রানই করতে পারেন সূর্য। তবে বড় রান না পেলেও নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন বদলাতে আগ্রহী নন ভারতীয় মিডল অর্ডার তারকা।
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘বিজয় হাজারেতে আমি নিজের স্বাভাবিক আগ্রাসী ভঙ্গিমায় ব্যাট করছিলাম, যা আমায় এতদিন সাফল্য দিয়ে এসেছে। আমি শট খেলতে গিয়ে আউট হলেও সেগুলি খারাপ শট ছিল না। এইভাবেই আমি খেলা চালিয়ে যাব, কারণ ১০টার মধ্যে সাত-আটটা ইনিংসে ভাল খেললে বাকি দুই ইনিংস নিয়ে আমি কেনই বা ভাবতে যাব। এইভাবে খেলেই আমি আমার ক্লাব, মুম্বই এবং ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।