ছত্রসাল স্টেডিয়ামে সাগর রানা ধনকড় হত্যাকাণ্ডে যে চার সাক্ষী রয়েছেন, তাঁদের সুরক্ষার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিতে বলল রোহিণী জেলা আদালতের প্রধান বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা নেতৃত্বাধীন কমিটি। চার সাক্ষীকে ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’ সুরক্ষা দিতে বলা হয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ডিসিপি এবং হরিয়ানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চার সাক্ষীর বাড়ির বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা, অ্যালার্ম এবং পাহারার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। যাতে কোনও ভাবে সুশীল কুমার, তাঁর সহযোগীদের মাধ্যমে টাকা এবং ক্ষমতার জোরে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে না পারেন বা তাঁদের প্রভাবিত না করতে পারেন।
স্বর্ণকান্ত শর্মা নেতৃত্বাধীন কমিটি সব কিছু বিচার বিবেচনা করে বলেছে, সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণেই সাক্ষীদের জরুরি ভিত্তিতে আপতকালীন নিরাপত্তা দিতে হবে। চার সাক্ষীর পক্ষ থেকে আইনজীবি অজয় কুমার পিপানিয়া কোর্টকে জানিয়েছিলেন, প্রত্যেকেই ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। চার সাক্ষী এতটাই ভীত যে পুলিশের কাছেও নিজেদের ঠিকানা দিতে রাজি হচ্ছেন না তাঁরা। পিপানিয়া আরও বলেছেন, পুলিশের রিপোর্টেও বলা হয়েছে, সুশীল কুমার তাঁর অর্থ এবং ক্ষমতার জোরে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন বা তাঁদের প্রভাবিতও করতে পারেন।
এর পরেই সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কোর্ট। সাক্ষীদের সব রকম সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বাড়ির আশেপাশে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশকেও এই মর্মে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
ছত্রসাল স্টেডিয়ামে জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন সাগর রানা ধনকড় হত্যা মামালায় মূল অভিযুক্ত সুশীল কুমারই। সাগর ছাড়াও তাঁর আরও দুই বন্ধু সোনু ও অমিত কুমারকেও মারাধর করার অভিযোগ রয়েছে সুশীলের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত সুশীলের মার খেয়েই মারা যান সাগর। এই মারধরের ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। যাতে আরও বেশি করে ফেঁসে গিয়েছেন সুশীল। সাগর মারা যাওয়ার পর থেকেই আত্মগোপন করেছিলেন ৩৭ বছরের কুস্তিগীর। তবে ২৩মে দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েন দু'বারের অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সুশীল। এখন তিনি তিহাড় জেলে বন্দি রয়েেছেন।