আদতে তিনি মুম্বইয়ের লোক। কিন্তু ক্রিকেট খেলেছেন বাংলার হয়ে। বাংলার অধিনায়কত্ব করেছেন। সেজন্য বাংলার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রোহন গাভাসকর।
মঙ্গলবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে কর্নাটককে উড়িয়ে দিয়ে এলিট গ্রুপ ‘বি’-তে শীর্ষস্থান দখল করেছে বাংলা। উঠে গিয়েছে কোয়ার্টার-ফাইনালে। বাংলার সেই জয়ের পর একটি টুইটবার্তায় রোহন বলেন, ‘কঠিন গ্রুপের শীর্ষে থাকার জন্য ছেলেদের শুভেচ্ছা। আরও অনেকটা পথ যেতে হবে যদিও।’ সেই টুইটের প্রেক্ষিতে এক নেটিজেন বলেন, ‘আপনি এত দলকে সমর্থন করেন যে কোনও দল, কোথাও ভালো করে ফেলছে। ভাবছি যে ভারত তৃতীয় হল (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে)। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শক্তিশালী আটলান্টাকে প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (কটাক্ষের ধাঁচে অবশ্যই)।’ পালটা রোহন বলেন, ‘নিদেনপক্ষে কখনও কারও প্রতি সমর্থন তো টলেনি।’
তারইমধ্যে ওই নেটিজেনের মুম্বই বনাম বনাম প্রশ্নের জবাবে রোহন বলেন, 'মুম্বই ছিল বিদ্যালয়। বাংলা হল কাজের জায়গা। মুম্বইয়ে ক্রিকেট নিয়ে শিক্ষা পেয়েছি, সেজন্য চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। স্কুল কঠিন ছিল। বাংলা আমায় খেলা এবং তাদের পরিবারের অংশ হয়ে ওঠার সুযোগ দিয়েছিল। সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।'
এমনিতে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাভাসকরের ছেলে রোহনকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল। অবশ্যই বাবার সাফল্যের ভার তাঁকে বইতে হয়েছিল। তারইমধ্যে বাংলার হয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন রোহন। ২০০১-০২ সালে বাংলার অধিনায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তাঁর সময়টা একেবারেই ভালো কাটেনি। তবে বাংলার হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। গুরুত্বপূর্ণ সময় নিয়েছিলেন উইকেট। পরে ২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।