কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যাপ্টেনের হাত ধরে ইডেনের মাঠে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে উঠল মুম্বই। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিফাইনালে ৪৪ বলে দুরন্ত ৭৩ রানের ইনিংস খেললেন নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। এরফলে বিদর্ভকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে উঠে গেল মুম্বই। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিল বিদর্ভ।
আরও পড়ুন… Pak’s qualification equation: কোন অঙ্কে T20 WC 2022-এ সেমিফাইনালে যেতে পারে পাকিস্তান
ইডেনের মাটিতে টস জিতে মুম্বই-এর বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল বিদর্ভ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলেছিল বিদর্ভ। তবে এদিন শুরুটা ভালো করেনি বিদর্ভ। পাঁচ রানের মধ্যেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল তারা। সঞ্জয় রঘুনাথ এক রান করেই আউট হন। এরপরে দলের অধিনায়ক অক্ষয় ওয়াদকার শামস মুনানির বলে মাত্র এক রান করে আউট হন। তবে এরপরে দলের হাল ধরেন ওপেনার অথর্ব তাইদে ও অপুর্ভ ওয়াংখাড়ে। ২২ বলে একটি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে ২৯ রান করেন অথর্ব, এছাড়া ২৬ বলে অপুর্ভ করেন ৩৪ রান। তাঁর এদিনের ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা ও তিনটি চার। এরপরে মিডিল অর্ডার সেভাবে সফল না হলেও সাত নম্বরে নামা জিতেশ শর্মা ২৪ বলে ঝোড়ো ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও তিনটি চার।
আরও পড়ুন… নতুন কোচ পেয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা, দায়িত্ব সামলাবেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে
বিদর্ভের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বই। এদিনের ম্যাচ পাঁচ উইকেটে জেতে মুম্বই। এদিনও অপেন করতে নেমে ২১ বলে ৩৪ রামনের ইনিংস খেলেন পৃথ্বী শ। অজিঙ্কা রাহানে চার বলে পাঁচ রান করেই আউট হয়ে যান। যশস্বী জসওয়াল আট বলে ১২ রান করে আউট হন। তবে এরপরে শ্রেয়স আইয়ার ৪৪ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। সারফারাজ খান ১৯ বলে করেন ২৭ রান। শেষে শিবম দুবে চার বলে অপরাজিত ১৩ রান ও মুলান অপরাজিত এক বলে এক রান করে ম্যাচ জিতিয়ে দেয়।
এবার ফাইনালে ৫ নভেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে মুম্বই-এর মুখোমুখি হবে হিমাচল প্রদেশ। মুম্বই-এর ম্যাচের আগে শেষ চারের লড়াইয়ে হিমাচলের সামনে ছিটকে গিয়েছে পঞ্জাব। এদিনের অন্য ম্যাচে টস জিতে হিমাচলকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান পঞ্জাব দলনায়ক মনদীপ সিং। হিমাচলপ্রদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন সুমিত বর্মা। জোড়া উইকেট নিয়ে নজরকাড়া বোলিং করেন অভিষেক শর্মা। পালটা ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রানে আটকে যায়। গিল নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। মনদীপ ও রমনদীপ প্রভাবশালী ব্যাটিং করলেও জয় তুলে নেওয়া সম্ভব হয়নি পঞ্জাবের পক্ষে। ঋষি ধাওয়ান বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।