মিজোরামের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৫৫ রান করেন পৃথ্বী শ। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অসমের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে ১৩৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন মুম্বইের তরুণ তুর্কী। সুতরাং, পৃশ্বী শ যে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
বিদর্ভের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচেও পৃথ্বী স্বাভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে শুরু করেন। তবে তিনি খুব বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি নিজের ও দলের ইনিংসকে। তাঁকে থামতে হয় টিম ইন্ডিয়ার নির্ভরযোগ্য পেসার উমেশ যাদবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে।
রাজকোটে এলিট-এ গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। পৃথ্বি ওপেন করতে নেমে ১৩ বলে ১৯ রান করে আউট হন। উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
পৃথ্বীকে সস্তায় আটকানো গেলেও মুম্বই দলগত পারফর্ম্যান্সে ভর করে লড়াই করার রসদ সংগ্রহ করে নেয়। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান তোলে। শিবম দুবে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪১ রান করেন। এছাড়া আমন হাকিম খান ১১, যশস্বী জসওয়াল ৮, সরফরাজ খান ২৬, হার্দিক তামোরে ৮, শামস মুলানি ১৩ ও সাইরাজ পাতিল ১৪ রান করেন।
বিদর্ভের হয়ে আদিত্য সারওয়াটে ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন। উমেশ যাদব ৩৮ রানে ২টি উইকেট দখল করেন। ৩১ রানে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন দর্শন নালকান্ডে। ২১ রানে ১টি উইকেট নেন অক্ষয় কারনেওয়ার।
আরও পড়ুন:- ফুটবল থেকে দাবা, হকি থেকে টেনিস, এই ছয় ক্রিকেটার অন্য খেলাতেও ছিলেন সমান দক্ষ
পালটা ব্যাট করতে নেমে বিদর্ভ ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৪০ রানে আটকে যায়। ১৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে মুম্বই। অথর্ব ২৮, অক্ষয় ওয়াদকর ২২, শুভম দুবে ২৪, অপূর্ব ওয়াংখাড়ে ২৩ ও অক্ষয় কারনেওয়ার ২৭ রান করেন।
শামস মুলানি ২১ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২০ রানে ২টি উইকেট নেন শিবম দুবে। ৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট নিয়েছেন মোহিত আবস্তি।