বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলতে তিলক বর্মার জুড়ি নেই। গত আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে সেটা বুঝিয়েছিলেন তরুণ অল-রাউন্ডার। এবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ঠিক সেই কাজটাই তিনি করে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে।
চলতি মুস্তাক আলি ট্রফিতে শুরুতে উইকেট হারিয়ে যখনই ব্যাকফুটে দেখিয়েছে হায়দরাবাদকে, দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে তুলেছেন তিলক। টুর্নামেন্টের চারটি ম্যাচে মাঠে নেমে চারটিতেই হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয় তুলে নেয় হায়দরাবাদ।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে হায়দরাবাদ। তিলক ব্যাট করতে নেমে ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। পুদুচেরির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ একসময় ২৩ রানে ২ উইকেট হারায়। তিলক ৪১ বলে ৫৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। গোয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ ১৪ রানে ১ উইকেট হারায়। তিলক ৪৬ বলে ৬২ রানের অনবদ্য যোগদান রাখেন। এবার ত্রিপুরার বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে হায়দরাবাদ ২ রানে ১ উইকেট হারায়। তিলক ব্যাট করতে নেমে ৪৬ বলে ৬৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। হায়দরাবাদ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হারলেও, পুদুচেরি ও গোয়া ম্যাচের মতো ত্রিপুরার বিরুদ্ধেও জয় তুলে নেয়।
জয়পুরে এলিট-বি গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ত্রিপুরা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রান তোলে। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ঋদ্ধিমান সাহা (১৫ বলে ১৩ রান) ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৬ বলে ৬ রান)। ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ বলে ৭৩ রান করেন বিক্রম কুমার দাস।
হায়দরাবাদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তনয় ত্যাগরাজন ও রবি তেজা। ১টি করে উইকেট বেন চামা মিলিন্দ, অনিকেত রেড্ডি ও ভগত বর্মা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় তুলে নেয়। তারা ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬২ রান সংগ্রহ করে। তিলকের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া মিকিল জসওয়াল ৩২ ও ত্যাগরাজন ২৪ রান করেন। রানা দত্ত, মনিশঙ্কর মুরাসিং, শঙ্কর পাল ও শুভম ঘোষ ১টি করে উইকেট নেন।