টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আবহের মধ্যেই রমরম করে ভারতে চলছে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিও। এই টুর্নামেন্টে বহু তারকাই নিজেদের প্রমাণ করতে দুরন্ত লড়াই চালাচ্ছেন। জাতীয় দলের দরজা খোলার জন্য দুরন্ত পারফরম্যান্স করছেন বেশ কিছু তারকা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন তারকা নিজেদের পারফরম্যান্সে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবারই যেমন পৃথ্বী শ' ঝড়ো সেঞ্চুরি করেছেন। উত্তরপ্রদেশের হয়ে আবার জ্বলে উঠেছেন শিবম মাভি। তবে ঋদ্ধিমান সাহা, বেঙ্কটেশ আইয়াররা ব্যক্তিগত ভাবে সাফল্য পেলেও, হারতে হয়েছ তাঁদের দলকে।
উত্তরপ্রদেশের জয়ে কারিগর হলেন মাভিই
প্রথম ম্যাচে পুদুচেরির বিরুদ্ধে দুরন্ত বল করেছিলেন উত্তরপ্রদেশ ফাস্ট বোলার শিবম মাভি। তবে গত ম্যাচে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশকে। ব্যর্থ হয়েছিলেন কেকেআরের তারকা বোলারকে। তবে শুক্রবার এদিন ফের জ্বলে উঠলেন শিবম মাভি। আর জয়ে ফিরল তাঁর দলও। উত্তরপ্রদেশের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে শতরানের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি দিল্লি। ৯৯ রানেই অল আউট হয়ে যান যশ ধুলরা। বল হাতে মাত্র ১৪ রান খরচ করে চারটি উইকেট নেন মাভি। তবে দিল্লির ব্যর্থতার দিনেও ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন মাভির কেকেআর সতীর্থ নীতিশ রানা। ৯৯ রানের মধ্যে একাই ৪৫ রান করেন রানা। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় ডুবতে হল দিল্লিকে। জবাবে অধিনায়ক করণ শর্মার অর্ধশতরানে ভর করে ২২ বল বাকি থাকতেই আট উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় উত্তরপ্রদেশ।
ঋদ্ধি ভালো খেললেও হারল ত্রিপুরা
সিদ্ধার্থ কউল, মায়াঙ্ক মারকাণ্ডেদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার হয়ে কার্যত একা লড়াই করলেন অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা। তবে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১১৮ রান করতে পারে ত্রিপুরা। এ দিকে ব্যর্থ হন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তিন বল খেলে শূন্য রানে আউট হন তিনি। অধিনায়ক ঋদ্ধি একাই ৬২ রানের ইনিংস খেলে দলকে শতরানের গণ্ডি পার করান। সিদ্ধার্থ তিন এবং মায়াঙ্ক দু'টি উইকেট নেন। অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে খুব বেশি সময় লাগায়নি পঞ্জাব। পাঁচ ওভার হাতে রেখেই নয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। অভিষেক শর্মা ৩৪ এবং আর এক ওপেনার প্রভসিমরণ সিংহ ৫৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
আরও পড়ুন: বল হাতে চমকে দিলেন অর্জুন! আউট করলেন MI-এর তারকাকে, তেন্ডুলকরের শিকার চার উইকেট
হারল মধ্যপ্রদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া রজত পতিদার খেললেন মধ্যপ্রদেশের হয়ে। দুরন্ত ছন্দে ছিলেন বেঙ্কটেশ আইয়ারও। তবে তা সত্ত্বেও উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ৫০ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হল মধ্যপ্রদেশকে। উত্তরাখণ্ড প্রথমে ব্যাট করে এ দিন মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তোলে। কুনাল চাণ্ডেলা সর্বাধিক ৫৯ রানের (২৪ বলে) ইনিংস খেলেন। বেঙ্কটেশ আইয়ার আগের দিন ছয় উইকেট নিলেও এ দিন বল হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নিজের তিন ওভারেই ৪৬ রান খরচ করেন তিনি। ব্য়াট হাতে অবশ্য তিনি ৪২ রান করেন। রজত পতিদার করেন ২৩ রান। এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশের আর কেউই রান পাননি। ফলে ১৪৪ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।