নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামছে ভারত। রাঁচিতে প্রথম ম্যাচ হারার পর লখনউতে সমতা ফেরা টিম ইন্ডিয়া। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ অবস্থায় রয়েছে। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নামার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সূর্যকুমার যাদব। সেখানে উঠে আসে মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রসঙ্গ। সাংবাদিকদের তরফ থেকে সূর্যকে প্রশ্ন করা হয়, চাপ সামলে কিভাবে তিনি ম্যাচটি বার করে নিয়ে আসেন? প্রত্যুত্তরে মজা করে যাদব বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ রাঁচিতে শুরু হয় তাই শান্ত মনোভাব ওখান থেকেই এসেছে।’
সূর্যকুমার যাদব বর্তমানে টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটার। তাঁকে কেন এক নম্বর ব্যাটাদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তা আবার প্রমাণ করেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ১ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। পান্ডিয়াদের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০০ রান। কিন্তু লখনউয়ের স্পিনিং পিচে ওই রান করা যথেষ্ট কঠিন ছিল, তা বোঝা গিয়েছে। ম্যাচে মাথা ঠান্ডা রেখে ৩১ বলে অপরাজিত ২৬ রান করেন সূর্যকুমার। আপাতত দৃষ্টিতে খুব বেশি রান মনে না হলেও এই ম্যাচে করা সর্বাধিক রান যাদবেরই।
ভারত রান তাড়া করতে নামার সময় ম্যাচটা যে খুব জটিল হতে চলেছে তা কেউ ভাবেনি। কিন্তু পাওয়ারপ্লেতে ৩৪ রানে এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। স্পিনিং উইকেটে রান তোলা বেশ কঠিন করে তোলে নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা। চার উইকেট হারানোর পর হার্দিক এবং সূর্যর ৩১ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ জেতে ভারত।
তৃতীয় ওয়ানডের প্রাক্কালে সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্যকে প্রশ্ন করা হয় কীভাবে চাপের মধ্যে নিজেকে শান্ত রাখা এবং ধারাবাহিক ভাবে ভারতের হয়ে ম্যাচ ফিনিশ করছেন তিনি। জবাবে যাদব মজা করে বলেন, ‘রাঁচিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছিল তাই হয়তো সেখান থেকেই ওই শান্ত মনোভাব এসেছে।’ তারপর তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি মনে করি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আগে আমি অনেক ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি, যা আমাকে অনেক সাহায্য করছে। আমি সেখানে যা শিখেছি তা এখানে প্রয়োগ করছি। আমি মাথা ঠান্ডা রাখতে শিখেছি আমার সিনিয়রদের দেখে। তাঁরা কিভাবে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে সেই সম্বন্ধে তাদের সঙ্গে কথাও বলেছি।’ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের সেরা হন সূর্য কুমার যাদবআজ বুধবার নরেন্দ্র মোদীর স্টেডিয়ামে ডু অর ডাই ম্যাচে নামবে ভারত।