শুক্রবারই ভারতীয় টেবল টেনিসে ইতিহাস গড়েছিলেন মনিকা বাত্রা। তিনি এশিয়ান কাপ টেবিল টেনিস টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠে সকলকে চমকিয়ে দিয়েছিলেন। গড়ে ফেলেছিলেন নয়া রেকর্ডও। কিন্তু সেই সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে পারলেন না ভারতীয় সুন্দরী। সেমিতেই মুখ থুবড়ে পড়লেন মনিকা। শনিবার মেয়েদের সিঙ্গলসের সেমিফাইনালে জাপানের চতুর্থ বাছাই মিমা ইতোর কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয় মনিকার। যদিও এখন তিনি খেলবেন ব্রোঞ্জ পদকের জন্য।
কোয়ার্টার ফাইনালে তাইওয়ানের প্লেয়ারকে হারিয়েছেন মানিকা
মানিকা বাত্রা মেয়েদের মধ্যে প্রথম ভারতীয় টেবল টেনিস প্লেয়ার, যিনি এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। ভারতের অভিজ্ঞ প্লেয়ার মানিকা এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে তাইওয়ানের চেন জু-ইউ-কে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে ৬-১১, ১১-৬, ১১-৫, ১১-৭, ৮-১১, ৯-১১ এবং ১১-৯ ব্যবধানে হারিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইতিহাস মনিকার, প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে উঠলেন এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে
বৃহস্পতিবার আবার ‘রাউন্ড অফ ১৬’-এ বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম স্থানে থাকা চিনা প্যাডলার চেন শিংটংকে হারিয়েছিলেন। সেই ফর্ম ধরে রেখে শুক্রবার কোয়ার্টারে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ২৩ তম স্থানে থাকা তাইওয়ানের চেনকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দেন মনিকা। ইন্টারন্যাশনাল টেবিল টেনিস ফেডারেশনের ক্রমপর্যায়ে যিনি ৪৪ তম স্থানে আছেন।
আরও পড়ুন: খেলরত্নের জন্য সুপারিশ শরথ কমলের নাম, অর্জুন পুরস্কারের জন্য লক্ষ্যের
সেমির ফল
সেমিফাইনালে মানিকা বিশ্বের পাঁচ নম্বর মিমা ইতোর বিরুদ্ধে এঁটে উঠতে পারলেন না। তাঁর কাছে ৮-১১, ১১-৭, ৭-১১, ৬-১১, ১১-৮, ৭-১১ (২-৪) গেমে পরাজিত হন। শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিলেন মনিকা। তার পর ম্যাচে ফিরলেও, মিমা ইতোর দাপটের সামনে টিকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি জাপানের তারকার কাছে হেরে বসে থাকেন।
শরথ কমল এবং জি সাথিয়ানকে পেছনে ফেলেছেন মানিকা
এশিয়ান কাপের ৩৯ বছরের ইতিহাসে মানিকা ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্সের রেকর্ড গড়েছেন। এশিয়া কাপ সেমিফাইনালে প্রবেশ করা ভারতীয়দের মধ্যে এর আগে প্রথম প্লেয়ার ছিলেন চেতন বাবুর। তিনি পুরুষ প্লেয়ার হিসেবে সেমিতে প্রবেশ করেছিলেন। ফলে মনিকা হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় ও মহিলাদের মধ্য়ে প্রথম।
এ ছাড়াও ২০১৫ সালে, অচন্ত শরথ কমল এবং ২০১৯ সালে জি সাথিয়ান ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছিলেন। সেখানে সেমিতে পৌঁছে রেকর্ড করেন মনিকা। সেমিফাইনাল থেকে মনিকা ছিটকে গেলেও, এই টুর্নামেন্টে তাঁর লড়াই নিঃসন্দেহে তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।