শুভব্রত মুখার্জি: চট্টগ্রাম টেস্টে তাইজুলের বোলিং চালকের আসনে বসিয়ে ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু এরপরেও তাদের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দিন শেষে চাপে মুশফিকরা। প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের শতরান এবং মুশফিকুরের ৯১ রানে ভর করে বাংলাদেশ ৩৩০ রান তুলতে সমর্থ হয়। দ্বিতীয় দিনটি অবশ্য ছিল পাকিস্তানের। তাদের ওপেনিং ব্যাটাররা দুরন্ত ব্যাটিং করেন। তবে তৃতীয় দিনের সকালেই ম্যাচের রঙ পাল্টে দেন বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার স্পিন ঘূর্ণিতে নাভিশ্বাস অবস্থা তখন পাকিস্তান ব্যাটারদের। প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানে বাংলাদেশের ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পর দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাট হাতে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান করে ফেলেছিল সফরকারী পাকিস্তান।
তৃতীয় দিনে প্রত্যাঘাত করেন টাইগাররা। অসম্ভব ভালো বোলিং করছেন বাংলাদেশ দলের বোলাররা। পাকিস্তানের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার ১৩৩ রান করে আবিদ আলি প্যাভিলিয়নে ফেরার পরপরেই পাকিস্তান ইনিংসে 'মিনি কোলাপস' শুরু হয়। শাফিক করেন ৫২ রান। পরের দিকে নেমে ফাহিম আসরাফ রান না করলে আরও বড় রানের লিড নিতে পারত বাংলাদেশ। ২৮৬ রানে পাকিস্তান অল আউট হয়ে যায়। ৪৪ রানের লিড পায় টাইগাররা।
এদিন তাইজুলের ঘূর্ণির ফাঁদে পড়েন একের পর এক পাক ব্যাটার। আবিদ আলি, আবদুল্লা শফিক, আজহার আলি, ফাওয়াদ আলম, হাসান আলি, ফাহিম আসরাফ এবং নৌমান আলিকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানের লিড হাতে নিয়ে নেমেও ব্যাটারদের ব্যর্থতা এবং পাকিস্তান বোলারদের দাপটে ফের চাপে টাইগাররা। দিন শেষে তাদের স্কোর ৪ উইকেটে ৩৯। ক্রিজে ১২ রান করে মুশফিকুর রহিম এবং ৮ রান করে ইয়াসির আলি অপরাজিত রয়েছেন। শাহিন শাহ আফ্রিদির আগুনে পেসের বিরুদ্ধে অসহায় লেগেছে বাংলাদেশ ব্যাটারদের। আফ্রিদি, শাদমান, সইফ এবং শান্তকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন। মোমিনুলের উইকেটটি নিয়েছেন হাসান আলি। ৮৩ রানে আপাতত এগিয়ে বাংলাদেশ। হাতে রয়েছে ৬ টি উইকেট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।