তামিলনাড়ুর দুই বাবাই কামাল করলেন। আর তাঁদের হাত ধরেই বড় রানের স্কোর গড়ল দক্ষিণ ভারতের দলটি। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর বাবা অপরাজিত এবং বাবা ইন্দ্রজিৎ গড়ে ফেললেন অনন্য নজির। বৃহস্পতিবার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে একই দলের হয়ে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন যমজ দুই ভাই। যা ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন এক ইতিহাস। এটি ছিল অপরাজিতের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দশম সেঞ্চুরি এবং ইন্দ্রজিতের ১১তম শতরান।
ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ইন্দ্রজিত শেষ পর্যন্ত ১২৭ করে আউট হন। আর অপরাজিত আউট হন ১৬৬ করে। যমজ ভাইয়ের শতরানের হাত ধরে তামিলনাড়ু ৯ উইকেটে ৪৭০ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে। তৃতীয় উইকেটে ২০৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই দুই ভাই।
ইন্দ্রজিৎ এবং অপরাজিত এর আগেও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তখন অবশ্য দুই ভাই আলাদা আলাদা দলে খেলেছিলেন। অপরাজিত ইন্ডিয়া রেডের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। আর ইন্দ্রজিত ইন্ডিয়া গ্রীনের হয়ে দলীপ ট্রফির ম্যাচে খেলছিলেন। সেই ম্যাচে দুই ভাই-ই সেঞ্চুরি করেছিলেন।
দুই ভাই বাদ দিয়ে পঞ্জাব কিংসের শাহরুখ খান তামিলনাড়ুর হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। এর বাইরে ৩০ রানের গণ্ডি বাকি ক্রিকেটাররা টপকাতে পারেনি।
অপরাজিত তাঁর ১৬৬ রানের ইনিংসে ১৫টি চার এবং চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আর ইন্দ্রজিৎ ২১ টি চার মেরেছেন ১৪১ বলে ১২৭ রান করতে। ছত্তিশগড়ের সুমির রুইকার ৪ উইকেট নিয়েছেন। আর অজয় মণ্ডল নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ইন্দ্রজিৎ বলেছেন, ‘আমরা যখন ছোটবেলায় খেলাধুলা শুরু করি তখন থেকেই একে অপরের সাথে ব্যাটিং করি, যেটা আমাদের কাছে সব সময়ই মজার ছিল। শেষ বার যখন আমরা একটি ম্যাচে একসঙ্গে সেঞ্চুরি করেছিলাম, তখন অবশ্য সেটা আলাদা আলাদা দলের হয়ে। কিন্তু সেই সেঞ্চুরি করা, আর একই ম্যাচে এবং একই দলের হয়ে, তাও তামিলনাড়ুর হয়ে দুই ভাইয়ের একসঙ্গে সেঞ্চুরি করাটা সত্যিই একটি বিশেষ অনুভূতি।’
অপরাজিত আবার বলেন, ‘ও (ইন্দ্রজিৎ) সাবলীল ভাবে বল মারছিল এবং আমি নিজেও ভুল কোনও শট খেলতে চাইনি। ঠাণ্ডা মাথায় শট খেলার চেষ্টা করে গিয়েছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।