সহজ সুযোগ হেলায়ই হারালেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরির খরা কাটিয়ে ওঠার বড় একটা সুযোগ এসেছিল তাঁর সামনে। বুধবার পাল্লেকেলেতে তামিমের সামনে ছিল প্রায় দু’বছর পরে শতরান করার হাতছানি। এদিন মাত্র দশ রানের জন্য টেস্টে নিজের ১০ম শতরান হাতছাড়া করলেন তিনি।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে সাদা পোশাকে শেষ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তামিম। এরপর হ্যামিল্টনেই খেলেছিলেন ৭৪ রানের ইনিংস। ওয়েলিংটনে পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে আবারও ৭৪। এর ওপরে আর যেতেই পারেননি দুই বছরের বেশি সময় ধরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪৪ আর ৫০ রানের দুটি ইনিংসের পর আজ ৯০ রান করে আউট হলেন।
এদিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই সাইফ হাসানকে হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সেই সময় ম্যাচের হাল ধরেন তামিম। নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তামিম। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের ভিতটা নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকই গড়ে দিয়েছেন তিনি।২২৫ বলে ১৪৪ রানের জুটিতে কেবল ধাক্কা সামলানোই ছিল না, ছিল লঙ্কান বোলারদের চোখে চোখ রেখে পাল্টা আঘাতের হুমকিও। এদিন তামিম প্রায় ওয়ানডে স্টাইলেই খেলেছেন। কিন্তু সেই স্টাইলে সত্যিকার অর্থেই ঝুঁকির লেশমাত্র ছিল না। ১০১ বলের ইনিংসে তামিম বাউন্ডারি মেরেছেন ১৫টি। দারুণ এই ইনিংসে আফসোসটা রয়ে গেল একটাই, দু বছর পরেও সেঞ্চুরি পেলেননা তিনি।
আগের বলেই বিশ্ব ফার্নান্দোকে দারুণ এক কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরেছিলেন তামিম ইকবাল। নিজের সংগ্রহটাকে নিয়ে গিয়েছিলেন নব্বইয়ের ঘরে। কিন্তু পরের বলেই ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলটিকে তাড়া করতে গিয়ে আউট তামিম। যারা তাঁর একটি টেস্ট সেঞ্চুরির আশায় বুক বেঁধেছিলেন, তাদের নড়েচড়ে বসারই সুযোগ দিলেন না তামিম। ১০১ বলে ৯০ রানের ইনিংসটি তো দারুণ এক সম্ভাবনার অপমৃত্যুই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।