শুভব্রত মুখার্জি: নিলামে যখন তারা নরিসের মতন কার্যত আনকোড়া একজন মহিলা ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস তখন নিঃসন্দেহে ভ্রু কুঁচকে ছিলেন অনেকেই। একে অ্যাসোসিয়েট দেশের ক্রিকেটার, তার উপরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খুব কম, উপরন্তু ডব্লুপিএলের মতন এতবড় আসর যেখানে খেলতে হত বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে। সেখানে আ্যাসোসিয়েট দেশের এক ক্রিকেটার কতটা সফল হবেন আদৌ সফল হবেন কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব যেন প্রথম ম্যাচেই দিয়ে দিলেন তারা নরিস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমেরিকার হয়ে খেলেন এই বাঁহাতি পেসার। আর দিল্লির প্রথম ম্যাচেই ডব্লুপিএলে খেলা একমাত্র অ্যাসোসিয়েট দেশের ক্রিকেটার হিসেবে এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম পাঁচ উইকেট নেওয়া বোলার হওয়ার নজির গড়লেন তিনি।
২৪ বছর বয়সি পেসার তারা এদিন ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে বল হাতে অনবদ্য ফর্মে ছিলেন। কার্যত একার হাতেই আরসিবি ইনিংসের ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দেন সাসেক্সের হয়ে খেলা এই পেসার। অজি অলরাউন্ডার এলিসা পেরি, দিশা কাসাত, রিচা ঘোষ, কনিকা আহুজাকে পরপর আউট করেন তিনি। ফলে বড় রানের স্কোর তাড়া করে ডব্লুপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আরসিবির জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ডব্লুপিএলের নিয়ম অনুযায়ী এক ম্যাচে প্রথম একাদশে চারজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পারেন। তবে পঞ্চম জন অ্যাসোসিয়েট দেশের থেকে হলে তাকেও খেলানো যেতে পারে প্রথম একাদশে। এদিন সেই নিয়মকেই কাজে লাগায় দিল্লি ক্যাপিটালস দল। আর দলের ভরসার প্রতি পূর্ণ মর্যাদা দেখান তারা নরিস। উল্লেখ্য ডব্লুপিএলের নিলামে আর কোনও দল অ্যাসোসিয়েট দেশের ক্রিকেটারকে দলে নেয়নি। ফলে এখানে তাদের চালে সকলকে বাজিমাত করেছে দিল্লি। তারা নরিস এদিন চার ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানের বিরাট স্কোর করেছিল। শেফালি বর্মা ৮৪ এবং মেগ ল্যানিং ৭২ রান করেন। জবাবে আট উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৬৩ রান করতেই সক্ষম হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দল। তারা নরিসের পাঁচ উইকেটে ভর করে আরসিবিকে আটকে রাখতে সমর্থ হয় দিল্লি।