ভারতের মাটিতে পরবর্তী দু'টি আইসিসি ইভেন্টে কর ছাড় নিয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার সংঘাত বাধতে পারে। যেমনটা ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে দেখা গিয়েছে। যদিও আইসিসির এক প্রভাবশালী সদস্য ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বিসিসিআই ও আইসিসি, দু'পক্ষই বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সমাধান সূত্র খুঁজে বার করতে তৎপর।
২০২১ সালে আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ভারতের মাটিতে। আইসিসি ভারতীয় বোর্ডের কাছ থেকে নিশ্চয়তা চায় কর ছাড়ের প্রসঙ্গে। শুধু গ্লোবাল ইভেন্টের টিকিট বিক্রির উপরেই নয়, বরং টুর্নামেন্ট সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিঃশুল্ক হলে তবেই কোনও দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে, এই মর্মে ২০১৫ সালে সদস্য দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আইসিসি।
দু'টি ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্টের কর ছাড়ের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য বিসিসিআইকে ২০১৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। সেই ডেটলাইন ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে। হঠাৎ করে লকডাউনের মাঝে আইসিসির তরফে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায়ের। এই মর্মে আইসিসির পক্ষ থেকে চিঠিও পেয়েছে বিসিসিআই, যার সুর মোটেও পছন্দ হয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
এক বিসিসিআই কর্তা সমগ্র বিষয়টির পিছনে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। যেহেতু নতুন আইসিসি চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই এই তৎপরতা বলেই তিনি ইঙ্গিত করেন। সংশ্লিষ্ট বিসিসিআই কর্তা বলেন, 'কর ছাড়ের প্রসঙ্গ বিসিসিআই নির্ধারণ করতে পারে না। ভারত সরকার ঠিক করবে কোন বিষয়ে কর ছাড় দেওয়া সম্ভব।
অতীতে ফর্মুলা ওয়ানের সময় ভারত সরকার কোনও কর ছাড় দেয়নি। যতক্ষণ লকডাউন চলছে, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসাও সম্ভব নয়। লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না বলে বিসিসিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আইসিসিকে। হতে পারে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রসঙ্গটাই এবিষয়ে তৎপর করছে আইসিসিকে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।