চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া দল। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমে টেস্ট খেলবে অজিরা। তারপর হবে ওডিআই সিরিজ। লম্বা সফরে ইতিমধ্যেই ভারতে পা রেখেছে টিম অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে নাগপুরে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম ম্যাচে নামার আগে বেঙ্গালুরুতে অনুশীলনে নেমেছে অজিরা। দুই দলের কাছেই এই সিরিজ খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে এই সিরিজ জিততেই হবে ভারতকে। অজিরাও চায় ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের দিকে এগিয়ে যেতে। ফলে এটা স্পষ্ট, দুই দলই একে অপরে ছেড়ে কথা বলবে না।
আর ভারতে ম্যাচ মানেই যে স্পিন সহায়ক উইকেট হবে তা ভালো করেই জানেন বিপক্ষ দলের ক্রিকেটাররা। এই সিরিজে ভারতীয় স্পিনার অশ্বিনকে সামলানো অস্ট্রেলিয়ার কাছে কঠিন তাই হতে চলেছে। এমনটা আগেই জানিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি। অশ্বিনকে সামলানোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। বেঙ্গালুরুতে ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দল। এই প্র্যাকটিসের সময় স্টিভ স্মিথের নজর কাড়েন ভারতের নেট বোলার মহেশ পিথিয়া।
স্টিভ তখন তাঁর সতীর্থ মার্নাস ল্যাবুশানের সঙ্গে নেটে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় আর এক সতীর্থ রেনশ লক্ষ্য করেন মহেশ পিথিয়াকে। তিনি বলে ওঠেন, ‘এই লোকটি অশ্বিনের মতো বোলিং করে।’ সতীর্থদের এই চিৎকার শুনে অনুশীলন থামিয়ে দেন স্মিথ। এসে ভালো করে দেখতে থাকেন মহেশের বোলিং। দেখার পর তিনি মহেশের বিরুদ্ধে ব্যাটিংও করেন।
অশ্বিনের বিরুদ্ধে ভালো করতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া দল। তার জন্য সব প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন তারা। পিথিয়া অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্টের প্রথম নজরে আসেন ইনস্টাগ্রামের একটি রিলে। তাঁর বোলিং অশ্বিনের মতো হওয়ায় তাঁকে নেটে আসতে বলেন অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট। ঘরোয়া মরশুমে বরোদার হয়ে খেলেন তিনি। রঞ্জিতে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলার পরই অস্ট্রেলিয়া দলের নেট বোলার হিসাবে যোগ দেন মহেশ। অজি বাহিনী যে হোটেলে রয়েছে সেই হোটেলেই রাখা হয়েছে তাঁকে।
মহেশ পিথিয়া সৌরাষ্ট্রের বাসিন্দা। বরোদার হয়ে রঞ্জি খেলেন তিনি। ১১ বছর বয়সে অশ্বিনকে বোলিং করতে দেখে তাঁর মতো বোলিং করার ইচ্ছা হয়। সেই থেকে তাঁর শুরু। মহেশ বলেন, ‘আগে আমার নিজের নাম ধরে খুব কমই ডাকা হত। সবাই এখনও আমাকে অশ্বিন বলেই ডাকে।’
পিথিয়া পোরবন্দর কলেজে পড়াশোনা করাকালীন একটি ক্রিকেট ক্যাম্পে ইউসুফ পাঠান ও ইরফান পাঠানের নজরে পড়েন। সেইখানে পাঠান ভাইদের থেকে অনেক কিছু শিখতে শুরু করেন তিনি। এই মরশুমের শুরুতে তাঁর রঞ্জি অভিষেক হয়েছে।
মহেশের বোলিংয়ের সঙ্গে অশ্বিনের বোলিংয়ের মিল রয়েছে তা জানতে পেরেই তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া ম্যানেজমেন্ট। এই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে অশ্বিনকে নিয়ে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না অস্ট্রেলিয়া দল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।