পাকিস্তানের তরুণ পেসার মহম্মদ হাসনাইনের বোলিং অ্যাকশন আইসিসি অবৈধ ঘোষণার পর থেকেই পাকিস্তানের সমর্থকরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, বুমরাহর অ্যাকশন বৈধ হলে পাক পেসারের অ্যাকশন অবৈধ কেন? তাঁদের দাবি, জসপ্রীত বুমরাহ বল করার সময় তাঁরও কনুই বাঁকে। এক্ষেত্রে আইসিসির তরফে উচ্চবাচ্য করা না হলেও ছবিটা পরিস্কার করলেন প্রখ্যাত বোলিং কোচ ইয়ান পন্ট। তিনি বুমরাহ ও হাসনাইনের বোলিং অ্যাকশনের ছবি পাশাপাশি তুলে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কেন বুমরাহর বোলিং অ্যাকশন বৈধ এবং কেন হাসনাইনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আইসিসি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ বোলিং অ্যাকশন সেটাই, যেখানে বোলিং আর্ম অনুভূমিক তলে পৌঁছনোর পর থেকে বল ছাড়ার মুহূর্ত পর্যন্ত কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি ভাঙে। যদিও এক্ষেত্রে কনুইয়ের জয়েন্টে হাইপারএক্সটেনশনের ক্ষেত্রে অর্থাৎ কনুইয়ে ঋণাত্মক বাঁক যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কনুই বাঁকার বিষয়টা স্বাভাবিক। তাই তাঁদের বেলায় কনুইয়ের স্বাভাবিক বাঁক নেওয়ার বিষয়টিকে ছাড় দেওয়া হয়।
মোদ্দা কথা, কনুইয়ের স্বাভাবিক বাঁককে কনুই ভাঙা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। বুমরাহর ক্ষেত্রে হাইপারএক্সটেনশনের বিষয়টি প্রযোজ্য। তবে হাসনাইনের ক্ষেত্রে তাঁর কনুইয়ে তেমন স্বাভাবিক বাঁক নেই। বোলিং আর্ম অনুভূমিক তলে পৌঁছনোর সময় বুমরাহর হাত সোজা থাকলেও হাসনাইনের কাঁধ, কনুই ও কব্জি এক সমতলে থাকে না। এক্ষেত্রে পাক পেসারের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি ভাঙে বলেই আইসিসি তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে। বুমরাহর বোলিং অ্যাকশন এক্ষেত্রে আইনসিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়।
পন্ট পরে বোলিং অ্যাকশনের একই পর্যায়ে বুমরাহ ও হাসনাইনের দু'টি ছবি পাশাপাশি রেখেও তফাৎ বোঝানোর চেষ্টা করেন।
অতীতে শোয়েব আখতারের হাইপারএক্সটেনশন নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। হাইপারএক্সটেনশনের বিষয়টি প্রযোজ্য ছিল ভারতের আরপি সিংয়ের ক্ষেত্রেও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।