তাঁর ব্যাটে রয়েছে ১০০টি আন্তর্জাতিক শতরান। দেশের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ। বাইশ গজে এমন কোনও কৃতিত্ব নেই যা তিনি পাননি। তাঁকে বাইশ গজ চেনে ক্রিকেটের ভগবান বলে, তিনি হলেন সচিন তেন্ডুলকর। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়ার পরেও আক্ষেপে দিন কাটছে সচিনের। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি, নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন সচিন নিজেই। ক্রিকেট ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের তিনি জানিয়েছেন নিজের আক্ষেপের কথা।
সচিন জানিয়েছেন, ‘আমার দুটো আক্ষেপ রয়েছে। প্রথমটা হল আমি কখনও সুনীল গাভাস্করের সঙ্গে খেলতে পারিনি। যখন আমি বড় হয়ে উঠছি তখন থেকেই মাননীয় গাভাস্কর হলেন আমার ব্যাটিং নায়ক। এবং তাঁর সঙ্গে এক দলে এক সঙ্গে না খেলার আক্ষেপটা থেকে যাবে। আমি আমার অভিষেক করার বেশ কয়েক বছর আগে তিনি অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন।’
সুনীল গাভাস্করের সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার জার্সি পড়ে সাজঘর ভাগ করার অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সেই যন্ত্রনা সারা জীবন বয়ে বেরাতে হচ্ছে তাঁকে। ছোট বয়সের নায়কের সঙ্গে বাইশ গজে না নামার আক্ষেপ যেমন সচিনের রয়েছে তেমনই ভারতীয় ক্রিকেটের দুই নায়ককে একসঙ্গে না দেখার আক্ষেপ ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদেরও রয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটও এই দুই কিংবদন্তিকে একসঙ্গে বাইশ গজে ব্যাট হাতে নিয়ে নামতে দেখতে পেলনা।
সচিনের অন্য আরও একটি আক্ষেপ হল তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্যার ভিভ রিচার্ডসের বিরুদ্ধে খেলতে পারলেন না। দেশের হয়ে ভিভ রিচার্ডসের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি তিনি। সচিন জানিয়েছেন, ‘আমার অন্য আরও একটি আক্ষেপ হল যে, আমি আমার ছোট বয়সের আর এক নায়ক স্যার ভিভ রিচার্ডসের বিরুদ্ধে খেলতে পারিনি। যদিও আমি ভাগ্যবান ছিলাম যে কাউন্টি ক্রিকেটে আমি তাঁর বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। তবু আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলার অনুতাপ আমার মধ্যে রয়েছে। যদিও স্যার রিচার্ডস ১৯৯১ সালে অবসর নিয়েছিলেন এবং কয়েক বছর আমরা একই সময় মাঠে নেমেছিলাম তবু একে অপরের বিরুদ্ধে আমরা কখনও খেলিনি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।