ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানো বোধহয় একেই বলে। ১০০ বলের ক্রিকেটে ১৪৫ রান তাড়া করা সহজ না হলেও নিতান্ত কঠিনও নয়। তবে জয়ের জন্য তর সয়নি ক্যাপ্টেনের। লিয়াম লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে মারকাটারি ব্যাটিংয়ে মইন আলি তড়িঘড়ি বার্মিংহ্যাম ফিনিক্সের জয় নিশ্চিত করেন।
ট্রেন্ট রকেটসের বিরুদ্ধে দ্য হান্ড্রেডের ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন মইন-লিভিংস্টোন দু'জনেই। চার-ছক্কার ঝড় তুলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দুই তারকাই। মাঝে একসময় পরপর ৬টি বলকে বাউন্ডারির বাইরেও পাঠাতে দেখা যায় মইন-লিভিংস্টোন জুটিকে।
ট্রেন্ট রকেটসের ৬ উইকেটে ১৪৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বার্মিংহ্যাম ফিনিক্স শুরুতেই উইল স্মিডের উইকেট হারায়। হ্যামন্ড শুরুটা করেন আগ্রাসী মেজাজে, তবে তিনিও সস্তায় সাজঘরে ফেরেন। লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় মইনের পালটা দেওয়ার লড়াই।
দ্বিতীয় ইনিংসের ৪৯ ও ৫০তম বলে তাবরাইজ শামসিকে ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন লিভিংস্টোন। ঠিক তার পরেই বল করতে আসেন লুইস গ্রেগরি। ইনিংসের ৫১তম বলে চার মারেন মইন। ৫২তম বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। ৫৩তম বলে ফের ছক্কা মারেন বার্মিংহ্যাম দলনায়ক। ৫৪তম বলে চার মারেন মইন। সুতরাং, পরপর ৬টি বলে যথাক্রমে ৪, ৬, ৪, ৬, ৬ ও ৪, সাকুল্যে ৩০ রান ওঠে।
পরপর ৬টি বলে চার-ছয়:
৪৯তম বলে শামসিকে চার মারেন লিভিংস্টোন।
৫০তম বলে শামসিকে ছক্কা মারেন লিভিংস্টোন।
৫১তম বলে গ্রেগরিকে চার মারেন মইন আলি।
৫২তম বলে গ্রেগরিকে ছক্কা মারেন মইন আলি।
৫৩তম বলে গ্রেগরিকে ছক্কা মারেন মইন আলি।
৫৪তম বলে গ্রেগরিকে চার মারেন মইন আলি।
মইন শেষেমশ ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫২ রান করে আউট হন। লিভিংস্টেন ১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫১ রান করে নট-আউট থাকেন। বার্মিংহ্যাম ৩ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।