১৯৪৮ থেকে নয়ের দশকের শুরু পর্যন্ত বর্ণবৈষম্য়ের কারণে ক্রিকেট থেকেই দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। এক কথা একঘরে করে রাখা হয়েছিল। নয়ের দশকের শুরুতে সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা। নতুন পথ চলা শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। আসলে বিপ্লব ঘটিয়ে ৩০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের সিরিজে ক্লাইভ রাইসের দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হয়েছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনের টিমের।
সেই ইতিহাসের ৩০ বছর এ বার পালিত হবে যখন রবিবার। যখন বিরাট কোহলির ভারত সেঞ্চুরিয়ানে ডিন এলগারের দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। যে দু’ জনের হাত ধরে সে বার কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছিল, তাঁদের একজন জগমোহন ডালমিয়া, যিনি ছয় বছর আগে প্রয়াত। জীবিত রয়েছেন ৭৯ বছর বয়সী আলি বাকার। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার বন্ধুত্বের সেই পথচলা আরও বাড়ুক, এমনটাই কামনা করছে দুই দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা।
মজার বিষয়, প্রত্যাবর্তনের সিরিজ খেলার জন্য ভারত মোটেই প্রথম পছন্দ ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। অনেক দ্বিধা কাটিয়ে, কাঠখড় পুড়িয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা এসেছিল ভারতে খেলতে। প্রথম ওডিআই ছিল ইডেন গার্ডেন্সে। সে সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব ছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকাকে এই দেশে নিয়ে আসতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।