শুভব্রত মুখার্জি: ওভালের চতুর্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ১৯১ রান করেই অল আউট হয়ে গিয়েছে। একটা সময় যখন মনে হয়েছিল ভারত হয়ত ১৫০ রানের গন্ডি টপকাতে পারবে না, ঠিক তখন ব্যাট হাতে বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দেন শার্দুল ঠাকুর। মূলত তাঁর ৫৭ রান এবং বিরাট কোহলির ৫০ রানের ইনিংসে ভর করেই ভারত তাও কিছুটা লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে। তবু তারা প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের গন্ডি টপকাতে পারেনি। পরিসংখ্যান বলছে, এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারত কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে অতীতে একেবারেই সুবিধা করে উঠতে পারেনি। একমাত্র ১৯৮১ সালে শেষ বার প্রথম ইনিংসে ভারত ২০০ রানের কম করার পরেও ব্রিটিশদের হারিয়েছিল।
আজ প্রথম থেকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওভালের পিচে নড়বড়ে দেখিয়েছে। পিচে সেই রকম জুজু না থাকলেও একের পর এক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন দ্রুততার সঙ্গে। যখন মনে হচ্ছিল তাঁরা ক্রিজে বুঝি এ বার সেট হয়ে গেলেন, তার কয়েক মূহুর্ত পরেই তাঁরা আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন। শার্দুলের এই মারকুটে ইনিংসটি করতে না পারলে ভারত একেবারেই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকত না।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ওভালের প্রথম ইনিংস মিলিয়ে ভারত এই নিয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে ১১ বার ২০০ রানের নীচে অল আউট হয়ে গেল। এই ১১ বারের মধ্যে ১০ বার ভারতকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। একবার টেস্ট ড্র হয়েছে। সেটি ছিল ১৯৭৯ এর লর্ডস টেস্ট। তবে সেই ম্যাচটি বৃষ্টিবিঘ্নিত ছিল।
রেকর্ড বইয়ের পাতা ঘাটলে দেখা যাবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের নিচে অল আউট হয়েও ভারত শেষ বার তাদের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতেছিল ১৯৮১ সালে। সে বার টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছিল মুম্বইয়ে। ভারত প্রথম ইনিংসে ১৭৯ রানে অল আউট হয়ে যায়। জবাবে ইংল্যান্ড মাত্র ১৬৬ রানেই অলআউট হয়। ফলে ১৩ রানের লিড পায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ২২৭ রান করে। ২৪১ রানের জয়ের লক্ষমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড সে বার ১০২ রানেই অল আউট হয়ে গিয়েছিল। ফলে ভারত ১৩৮ রানে ম্যাচটি জিতেছিল। বিরাট বাহিনী ওভালের মাঠে এখন সেই ১৯৮১ সালের মুম্বইয়ের স্মৃতি ফেরাতে পারেন কিনা তার অপেক্ষাতে ভারতের আপামর সমর্থকরা!
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।