ফের বল গড়াবে বাংলার মাঠে। ফের খেলা হবে বাংলায়। এমনই ইঙ্গিত এসেছে নবান্ন থেকে। তবে তাঁর জন্য মানা হবে বেশ কিছু বিধি নিষেধ। দর্শক শূন্য ফাঁকা গ্যালারিতে করতে হবে খেলা। এই নির্দেশের পরেই নিজেদের পরিকল্পনা শুরু করে দিতে পারে বাংলা ক্রিকেটের সর্বময় সংস্থা সিএবি ও বাংলা ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা আইএফএ। এছাড়াও বিওএ-তে স্থগিত হয়ে যাওয়া বেশ কিছু খেলা আবার অনুষ্ঠিত করা যেতে পারে।
অতিমারী করোনা ব্যপক আকার নিতেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যে চালু করা হয়েছিল কিছু বিধিনিষেধ। যা লকডাউনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। যা প্রভাব ফেলেছিল ময়দানেও। ক্রিকেট থেকে ফুটবল, এছাড়াও বাংলার বহু খেলাই ফের থমকে গিয়েছিল। বাড়িতেই থাকতে হয়েছিল ক্রীড়াবিদদের। এমন অবস্থায় সোমবার নবান্নের ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে বাংলার ক্রীড়ামহলে।
মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে রাজ্যে চালু থাকা করোনা বিধিনিষেধের সময়সীমা। তার আগে সোমবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে একাধিক ছাড় ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খেলোয়াড়রা না আসতে পারলে কী ভাবে খেলা করা সম্ভব হবে। কারণ মাঠের দরজা খুললেও খেলোয়াড়দের যাতায়াত করার জন্য ট্রেন বাসতো বন্ধ থাকবে। আর বাংলার বহু খেলোয়াড় গ্রাম বাংলা থেকে কলকাতায় খেলতে আসেন। ফলে তারা সমস্যায় পড়তে পারেন।
তাই স্টেডিয়ামের ও মাঠের দরজা খুলছে এই খবরে কিছুটা হাসি ফুটেছিল বাংলার ক্রীড়ামহলে। অনেকেই ভাবছেন এই ছাড়ের মুহূর্তকে ব্যবহার করে স্থগিত হয়ে যাওয়া কোনও টুর্নামেন্ট বা খেলাকে শেষ করিয়ে নেওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হল যদি বাস, ট্রেন না চলে তাহলে কী করে কোনও খেলা করানো সম্ভব। কারণ ১৬ই জুন থেকে আরও ১৫দিন রাজ্যে ট্রেন, বাস থেকে উঠছে না কোনও বিধিনিষেধ। ফলে খেলোয়াড়রা ময়দান বা স্টেডিয়াম পৌঁছাবেন কী করে সেটাই প্রশ্ন।
তবে এখনই জিম খুলছেনা। কিন্তু শরীরচর্চার জন্য পার্কে প্রবেশ করা যাবে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন হবে ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন নিলে তবেই পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।