অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের হারিয়ে আসছে। ঘরের মাঠে উড়িয়ে দিচ্ছে ইংল্যান্ডকে। দুরন্ত ছন্দে বিরাট কোহলির ছেলেরা। এই ভাবে খেলতে থাকলে ক্রিকেটের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে ভারত। নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে তারা। এমনটাই মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইয়ান চ্যাপেল। সেই সঙ্গে তিনি বলে দিয়েছেন, ক্রিকেট বিশ্বের বাকি দলগুলিকে এখন ভারতের থেকে সাবধানে থাকতে হবে।
চ্যাপেল বলেছেন, ‘ভারত কিন্তু সাফল্যের অঙ্কটা কষতে শিখে গিয়েছে। যদি তারা কোনও রকম ভূল পথে পা না বাড়ায়, তবে এই সাফল্য ধরে রাখতে পারবে বারত। অন্য দলগুলির উপর আধিপত্য বিস্তার করার মতো এই মুহূর্তে সব গুণ রয়েছে ভারতীয় দলের। ক্রিকেট বিশ্বের বাকি দলগুলি কিন্তু সাবধানে থেকো।’
গ্রেগ চ্যাপেলের দাদা ভারতের কথা বলতে গিয়ে অতীতে ফিরে গিয়েছেন। যখন অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের এ রকমই একচ্ছত্র দাপট ছিল। ইয়ান চ্যাপেলের দাবি, যে ভাবে ভারত অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে লজ্জাজনক ভাবে হারার পরেও ঘুরে দাঁড়িয়ে টেস্ট সিরিজ জিতেছে , অতীতে কোনও দলই এ রকম পারফরম্যান্স করতে পারেনি। তিনি বলেছেন, ‘অতীতে দেখা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া কিংবা অন্য বিদেশ সফরে গিয়ে ভারত বার বার ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকে পুরো অন্য পথে হাঁটতে শুরু করেছে ভারত। তারা পিছিয়ে পড়েও হার মানেনি। তরুণ ক্রিকেটাররাও সমান তালে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে।’
ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী বলে করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার। বিশেষত দলে পেসারদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ চ্যাপেল। পাশাপাশি ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেও তিনি উচ্ছ্বসিত। ঋষভ পন্ত, শুভমন গিল, মহম্মদ সিরাজ, টি নটরাজন, নভদীপ সাইনি, শার্দূল ঠাকুরের মতো ক্রিকেটাররা দলের মেরুদন্ড বলে দাবি চ্যাপেলের। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের উন্নত মানের ক্রিকেট পরিকাঠামো হওয়ায় একাধিক তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসছে। তারা জাতীয় দলে সুযোগও পাচ্ছে। এবং প্রত্যেকে একেবারে তৈরি হয়েই দলে যোগ দিচ্ছে। আর এটাই ভারতের সাফল্যের চাবিকাঠি।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘এ ভাবে খেলতে থাকলে ভারত ক্রিকেটের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দেবে। নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবে তারা।’ সেই সঙ্গে ইয়ান চ্যাপেলের পরামর্শ, এই সাফল্যের পর মাথা ঘুরে গেলে চলবে না। মাটিতে পা রেখে চলতে হবে। না হলেই কিন্তু সমস্যা তৈরি হবে।