করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়ার পরই চারদিকে শুধুই হৃদয়বিদারক ঘটনা। একের পর এক মৃত্যু গোটা দেশকেই ক্ষতবিক্ষত করে চলেছে। ক্রীড়াজগতও বহু তারকাকে হারিয়েছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন রবিন্দর পাল সিং। মস্কো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী হকি তারকা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এই যুদ্ধে শেষ রক্ষা করতে পারলেন না তিনি। শনিবার লখনউয়ের একটি হাসপাতালে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রয়াত হন রবিন্দর পাল সিং।
১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী হকি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রবিন্দর পাল সিং। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ এপ্রিল তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দু' সপ্তাহ কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার পরও তাঁকে বাঁচানো গেল না।
তবে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর তাঁকে নন-কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তিরত করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। শনিবার মারা যান রবিন্দর পাল সিং।
তাঁর মৃত্যুর খবরে ফের শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় ক্রীডা় মহলে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু টুইটে শোকজ্ঞাপন করে লিখেছেন, ‘রবিন্দর পাল সিং জি-র কোভিড যুদ্ধে হেরে যাওয়ার খবরে আমি খুবই দুঃখিত। তাঁর মৃত্যুতে ভারত একজন সোনাজয়ী হকি দলের সদস্যকে হারাল, যিনি ১৯৮০ সালে অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন। ভারতীয় ক্রীড়ায় তাঁর অবদান সব সময় মনে থাকবে। ওম শান্তি।’
কিরেণ রিজিজু একা নন, হকি ইন্ডিয়ার তরফেও গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়াও হকি প্লেয়ার এসভি সুনীলও টুইটের মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
শুধু ১৯৮০-র অলিম্পিক্স নয়, ১৯৮৪-র লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৯-র জুনিয়র বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। সীতাপুরের রবিন্দর অসম্ভব ভাল সেন্ট্রাল হাফ ছিলেন। অলিম্পিক্স ছাড়াও ১৯৮০ এবং ১৯৮৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিয়েছেন। হং কং-এ অনুষ্ঠিত সিলভার জুবিলি টেন ন্যাশন কাপে (১৯৮৩) দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ১৯৮২ সালে বিশ্বকাপ খেলেছেন। ওই বছরই করাচিতে এশিয়া কাপেও অংশ নিয়েছেন।