দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান রাজীব গান্ধী খেলরত্নের জন্য হরভজন সিংয়ের নাম কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকে পাঠিয়েছিল পঞ্জাব সরকার। তবে পরে সর্দারের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পঞ্জাব সরকারের এমন পদক্ষেপ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়। যে জল্পনায় জল ঢালেন ভাজ্জি নিজে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হরভজনই খোলসা করেন খেলরত্নের দাবি থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের কারণ। টার্বুনেটর জানান, তাঁর অনুরোধেই পঞ্জাব সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। আসলে খেলরত্নের জন্য যে যোগ্যতামান বিবেচনা করা হয়, তাতেই আটকে যাচ্ছেন তিনি।
পর পর তিনটি টুইটে হরভজন স্পষ্ট করেন ছবিটা। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মঞ্চে শেষ তিন বছরের ধারাবিহক পারফর্ম্যান্সের নিরিখেই খেলরত্ন প্রদান করা হয়। সেখানে তিনি শেষ তিন বছরে জাতীয় দলের হয়ে মাঠেই নামেননি।
টুইটারে সর্দার লেখেন, 'আমার খেলরত্নের মনোনয়ন নিয়ে সকলের মধ্যে সংশয় ও জল্পনা দেখা দিয়েছে। সুতরাং, আমি একটু বিষয়টা স্পষ্ট করে দিই। গতবছর আমার মনোনয়ন পাঠানো হয়েছিল দেরিতে। এবছর আমি নিজেই পঞ্জাব সরকারকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে বলি। কারণ, আমি তিন বছরের যোগ্যতামানে আটকে যাচ্ছি। এই নিয়ে অহেতুক আর জল্পনা হোক চাই না।'
দ্বিতীয় টুইটে ভাজ্জি লেখেন, 'পঞ্জাব সরকারের এতে দোষ নেই। তারা আমার নাম প্রত্যাহার করে সঠিক কাজ করেছে। সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের এই নিয়ে আর জল্পনা না বাড়ানোর অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।'
আরও একটি টুইটে হরভজন লেখেন, 'প্রিয় বন্ধুরা, পঞ্জাব সরকার কেন আমার খেলরত্নের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তা জানতে চেয়ে আমার কাছে অজস্র ফোন আসছে। সত্যিটা হল, আমি খেলরত্নের যোগ্যতামানেই আসছি না। খেলরত্নের জন্য শেষ তিন বছরের আন্তর্জাতিক পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করা হয়।'
হরভজন শেষবার জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন ২০১৬-র মার্চে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।