শনিবার রাজকোটে তারকা ব্য়াটার সূর্যকুমার যাদবকে একেবারে ঝোড়ো মেজাজে পাওয়া গিয়েছে। চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন তিনি। পাশাপাশি অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতকে সিরিজ জিততে সাহায্য করেছেন। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কেএল রাহুলের মতো সিনিয়র অভিজ্ঞ তারকাদের ছাড়াই অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ২-১ জয় পেয়েছে।
রোহিত-কোহলিদের ছাড়া ভারত যে ভাবে টি-টোয়েন্টিতে দাপট দেখাচ্ছে, সেটা দেখার পর প্রাক্তন ভারতীয় নির্বাচক সাবা করিম ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে অনুরোধ করেছেন যে, ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছরে ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রোহিত এবং কোহলিকে বাদ দেওয়ার জন্য। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকর এমনও মন্তব্য করেছেন, রোহিত এবং কোহলির ব্যাটিং জুটিকে একটি শর্তে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে রাখা যেতে পারে। কিন্তু সেই শর্ত কী? সাবা করিম এই প্রসঙ্গে দীনেশ কার্তিকের উদাহরণ টেনেছেন।
আরও পড়ুন: T20I থেকে সরে দাঁড়াবেন? লঙ্কার বিরুদ্ধে ODI-এ ওপেনার কে? সোজাসাপ্টা জবাব রোহিতের
ইন্ডিয়া নিউজ স্পোর্টসে আলোচনার সময়ে সাবা করিম তাঁর মতামত ভাগ করে নিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার একটি দুর্দান্ত আইপিএল মরসুম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এটি ঘটে, তবে নির্বাচকেরা তাদের বাইরে রাখতে পারবেন না। গত বছর দীনেশ কার্তিকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে আমি মনে করি, আপাতত ওদের বাছাই করা দরকার। হ্যাঁ, আইপিএলে ভালো করলে ওদের বিবেচনা করা যেতে পারে।’ রোহিত অবশ্য সোমবার সাংবাদিকদের পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘আমি এই ফরম্যাটে (টি-টোয়েন্টি) না খেলার সিদ্ধান্ত এখনও নিইনি।’
আরও পড়ুন: সচিন, ভিভদের দেখেছি, ওর মতো ব্যাটার শতাব্দীতে একবারই আসে- কার দক্ষতায় মুগ্ধ কপিল?
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে অভিজ্ঞ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ারের প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে দলের শক্তি বাড়াবে। এই বছর ভারতের ঠাঁসা ওডিআই ম্যাচের সূচি রয়েছে। এশিয়া কাপ বাদে ১৫টি ম্যাচ খেলবে ভারত। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই রয়েছে। এই ম্য়াচের আগে জসপ্রীত বুমরাহ পুরো ফিট না হওয়ার কারণে ফের দল থেকে বাদ পড়েছেন। রোহিত বলেছেন, ‘জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির নেটে বোলিং করার সময় জসপ্রীত বুমরাহ স্টিফনেস অনুভব করেছিল।’
অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের তৈরি করতে ১০ মাস মতো সময় আছে। শুধু দলের ভারসাম্য ঠিক রাখা নয়, কাজের চাপও সমালাতে হবে ভারতীয় দলকে। এ ছাড়াও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এবং অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজও রয়েছে। সব চাপটাই সুষ্ঠ ভাবে সামলাতে হবে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের।