ভারতীয় ব্যাডমিন্টন আজ রবিবার ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলল। ৭৩ বছরে এই প্রথম বার ফাইনালে উঠেই সোনা জিতল ভারত। এর আগেই থমাস কাপের ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়ে ফেলেছিল ভারতীয় দল। এর আগে ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপ অর্থাৎ থমাস কাপে ভারতের সেরা সাফল্য ছিল ১৯৫২, ১৯৫৯, এবং ১৯৭৯ সালে সেমিফাইনালে ওঠা। সেই সময়ে সেমিফাইনালে উঠলেও পদক পায়নি ভারত। পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতেই প্রথমবার থমাস কাপে সোনা পেল ভারত।
আর ভারতের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইটে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘ইতিহাস রচনা করেছে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দল! ভারতের থমাস কাপ জয়ে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ! আমাদের লড়াকু দলকে অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতের জন্য তাদের শুভকামনা। এই জয় অনেক আসন্ন ক্রীড়াবিদকে অনুপ্রাণিত করবে।’
এর আগে ১৪ বার থমাস কাপ জিতেছে ইন্দোনেশিয়া। এহেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ফাইনালের প্রথম ম্যাচেই জয় পায় ভারত। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী অ্যান্টনি জিন্টিংয়ের কাছে প্রথম গেমে লক্ষ্য সেন হারেন ৮-২১ স্কোরে। দুরন্ত কামব্যাক করে দ্বিতীয় গেম ২১-১৭ ব্যবধানে জিতে নেন তিনি। ডিসাইডার গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে লক্ষ্য ২১-১৬ ফলে জিতে যান।
১-০ ফলে এগিয়ে থেকে ডাবলস ম্যাচে নামেন সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি। মহম্মদ আহসান এবং কেভিন সুকামূলজোর কাছে তাঁরা ১৮-২১ ফলে প্রথম গেম হারেন। হেরে গেলেও ঘুরে দাঁড়ায় ভারতীয় জুটি। চারটি গেম পয়েন্ট বাঁচিয়ে তাঁরা ২৩-২১ ফলে দ্বিতীয় গেম জিতে নেন। দাপটের সঙ্গে ২১-১৯ ফলে তৃতীয় গেমে ভারতকে জয় এনে দেন তাঁরা।
তৃতীয় ম্যাচে জোনাথন ক্রিস্টির বিরুদ্ধে নামেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। ২১-১৫ ব্যবধানে প্রথম গেমে প্রতিপক্ষকে হেলায় হারিয়ে দেন তিনি। যদিও একটা সময়ে টানা পয়েন্ট জিতে ম্যাচে ফিরে এসেছিলেন জোনাথন। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে নেন শ্রীকান্ত। ২২ -২১ ফলে দ্বিতীয় গেম জেতেন তিনি। সেই সঙ্গেই ভারতের সোনা জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।