বাংলা নিউজ > ময়দান > ভারতের কোচ হতে চাও? গাভাসকরের এমন ই-মেলকে ধাপ্পাবাজি মনে হয়েছিল কার্স্টেনের

ভারতের কোচ হতে চাও? গাভাসকরের এমন ই-মেলকে ধাপ্পাবাজি মনে হয়েছিল কার্স্টেনের

গ্যারি কার্স্টেন। ছবি- রয়টার্স।

মাত্র ৭ মিনিটের ইন্টারভিউয়েই টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ নিযুক্ত হয়েছিলেন গ্যারি।

কোনও রকম কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা ছিল না। আবেদনও করেননি কোথাও কোচিংয়ের জন্য। তা সত্ত্বেও যদি ই-মেলে কোচিং করানোর প্রস্তাব আসে, তাও আবার টিম ইন্ডিয়ার মতো হাই প্রোফাইল দলকে, তখন সেটাকে ধাপ্পাবাজি মনে হওযাই স্বাভাবিক। ২০০৭-এ ঠিক এমনটাই মনে হয়েছিল গ্যারি কার্স্টেনের।

কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেননি। কারণ, কোচিং করানোর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না কার্স্টেনের। হঠাৎই কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের ই-মেল আসে জানতে চেয়ে যে, তিনি ভারতীয় দলকে কোচিং করাতে চান কিনা? প্রথমে উদ্ভট মেল ভেবে উত্তর দেননি গ্যারি। পরে সানির আরও একটি ই-মেল পান কার্স্টেন, যেখানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তিনি ইন্টারভিউ দিতে আসছেন কিনা।

দুটি ই-মেল স্ত্রী'কে দেখান কার্স্টেন। স্ত্রী তাঁকে বলেন, হয়ত অন্য কাউকে পাঠাতে গিয়ে ভুল করে তাঁর কাছে চলে এসেছে। শেষমেশ অবশ্য বুঝতে পারেন যে, কোনও রকম ধাপ্পাবাজি নয়, গাভাসকর সত্যিই তাঁকে ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ক্রিকেট কালেকটিভ অনুষ্ঠানে এমন উদ্ভটভাবে টিম ইন্ডিয়ার কোচ হওয়ার পথে পা বাড়ানোর গল্প শোনালেন কার্স্টেন।

চমক ছিল ইন্টারভিউ পর্বেও। ইন্টারভিউয়ের জন্য কোনও প্রস্তুতি না নিয়েই ভারতে এসেছিলেন কার্স্টেন। ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে যখন হাজির হন, তখন সেখানে বসে ছিলেন ক্যাপ্টেন অনিল কুম্বলে। গ্যারিকে দেখা মাত্রই কুম্বলে চমকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি এখানে কী করছ?’ উত্তরে কার্স্টেন জানান, ‘তোমাদের কোচিং করানোর জন্য ইন্টারভিউ দিতে এসেছি।’ কথা শেষ হওয়া মাত্র দু'জনেই হো হো করে হেসে ওঠেন।

মাত্র ৭ মিনিটের ইন্টারভিউয়েই কার্স্টেনকে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ নিযুক্ত করে বিসিসিআই। পরের গল্পটা ভারতীয় ক্রিকেটের লোকগাথায় চিরকালীন জায়গা করে নিয়েছে। কোচিংয়ের কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই গ্যারি ভারতীয় দলকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যান। টিম ইন্ডিয়াকে এক নম্বর টেস্ট দল বানানো ছাড়াও ২০১১ সালে ধোনিদের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।

বন্ধ করুন