একসঙ্গে পথচলা শুরু করেই সমর্থকদের ঝকঝকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছে এটিকে-মোহনবাগান। প্রথম বোর্ড মিটিংয়ের পর দলের তরফে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে অনুরাগীদের। যার মধ্যে অদূর ভবিষ্যতে তিনটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে ভারতীয় ফুটবল নতুন মাত্রা পাবে নিশ্চিত। দেখে নেওয়া যাক সমর্থদের দেওয়া এটিকে-মোহনবাগানের প্রতিশ্রুতি এবং তা বাস্তবের রূপ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা।
মোহনবাগান মাঠকে বিশ্বমানের করে তোলা:- বোর্ড মিটিংয়ের পর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানান যে, তিনি চেষ্টা করবেন শহরের ঐতিহ্য মোহনবাগান মাঠকে বিশ্বমানের করে তোলার, যাতে সেখানে আইএসএল ও এএফসি'র ম্যাচ আয়োজন করা যায়। এএফসি'র ম্যাচ আয়োজন করতে হলে স্টেডিয়াম অত্যাধুনিক হওয়া প্রয়োজন। সেখানে সবরকমের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার। মোহনবাগান মাঠের আধুনিকীকরণের জন্য ঢেলে সাজাতে হবে স্টেডিয়াম। তবে ময়দানে স্থায়ী কোনও পরিকাঠামো নির্মানের জন্য সেনার অনুমতি দরকার। তাই বিষয়টা শুধু মাত্র ক্লাব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে না।
বাংলায় বিশ্বমানের ফুটবল অ্যাকাডেমি ও সারা দেশে ফুটবল স্কুল গড়ে তোলা:- বর্তমানে মোহনবাগানের ফুটবল অ্যাকাডেমি রয়েছে তবে সেটার পিছনে পর্যাপ্ত খরচ করা হয় কিনা সন্দেহ। নতুন করে সেই অ্যাকাডেমিকে সাজিয়ে তোলা অসম্ভব নয়। বাংলায় আলাদা করে অ্যাকাডেমি গড়ে তুললে মোহনবাগানের পুরনো অ্যাকাডেমির প্রাসঙ্গিকতা কমবে। তাছাড়া সারা দেশে আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল স্কুলের পরিকল্পনা তড়িঘড়ি বাস্তবায়িত হওয়া মুশকিল।
মোহনবাগানের সম্ভাবনাময় তরুণদের হাবাসের প্রশিক্ষণে পরিণত করে তোলা:- এই মুহূর্তে মোহনবাগান দলে সেখ সাহিল, শুভ ঘোষ, কিয়ান নাসিরি ও দীপ সাহার মতো চার জন প্রতিশ্রুতিমান তরুণ রয়েছেন। এটিকে-মোহনবাগানের স্কোয়াডে যাঁদের জায়গা করে নেওয়ার কথা। হাবাসের প্রশিক্ষণে ও বিশ্বমানের ফুটবলারদের সান্নিধ্যে এই সব তরুণদের পরিণত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে নিশ্চিত। তবে বড় মঞ্চে মাঠে না নামতে পারলে যে কোনও ফুটবলারই হতাশ হয়ে পড়বেন। এখন দেখার বিষয় এই যে, তাঁরা সারা মরশুমে কত মিনিট মাঠে কাটানোর সুযোগ পান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।