ফটবলপ্রেমীদের জন্য অভাবনীয় সুখবর। টিকিট ছাড়াই দেখা যাবে বিশ্বকাপ। বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড কাপ অর্গানাইজাররা জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২২-এর কাতার বিশ্বকাপে যারা বিদেশ থেকে আসবেন খেলা দেখতে তাঁদের কাছে টিকিট থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এমনকি ২ ডিসেম্বর থেকে বিনা টিকিটেই সমর্থকরা খেলা দেখার সুযোগ পাবেন।
সেক্ষেত্রে অবশ্য সমর্থকদের একটি হায়া কার্ড বানাতে হবে। যা টুর্নামেন্ট আইডেন্টিফিকেশন ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই কার্ডটি থাকলে সমর্থকদের আর টিকিটের প্রয়োজন হবে না।
জানা যাচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপে বিদেশ থেকে ১.২ মিলিয়ানের কাছাকাছি সমর্থক খেলা দেখবে। অনান্য শহরের তুলনায় এমিরেটস শহরটা আয়তনে বেশ খানিকটা ছোট। সে শহরেই ৬৪টা ম্যাচের জন্য প্রায় তিন মিলিয়ানের কাছাকাছি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে বাসস্থানের। হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট, ক্রুজ শিপ এবং ক্যাম্পসাইটের। গ্রুপ স্টেজের ম্যাচগুলি টিকিটের চাহিদা সবথেকে বেশি। ২০ নভেম্বর থেকে চালু হবে। সমর্থকদের অনুরোধ করা হচ্ছে কাতারের পড়শি দেশগুলিতে থাকতে। এবং সেখান থেকেই খেলা দেখার জন্য যাতায়াত করতে বলা হয়েছে।
তবেই ছোট শহরে চাপ কম পড়বে। যখন ৩২টির মধ্যে মাত্র ১৬টি দেশের খেলা পড়বে তখন এই চাপ খানিক কমতে পারে। বিশ্বকাপের এই নক আউট পর্ব শুরু হবে ৩ ডিসেম্বর থেকে। ফাইনাল ১৮ ডিসেম্বর।
সুইৎজারল্যান্ডের পরে কাতারই হয়ত একমাত্র ক্ষুদ্রতম দেশ যেখানে বিশ্বকাপ আয়োজিত হল। ১৯৫৪ সালে সুইৎজারল্যান্ডে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। দোহার আটটি স্টেডিয়ামে বাস এবং মেট্রো করে পৌঁছনো যাবে। এছাড়াও, কাতার এয়ারওয়েজ ইতিমধ্যেই নিজেদের গ্রাহকদের জন্যে বিমান পরিষেবা থেকে হোটেল, টিকিট সব কিছুরই ব্যবস্থা করছে।
অন্য দিকে, দুবাই শহরও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ফ্লাই দুবাইও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে প্রতিদিন দুবাই থেকে দোহার ৩০টা বিমান চলাচল করবে। যাত্রীরা গিয়ে পৌঁছবেন দোহার সুবিশাল হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ২০১৪ সালে ১৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে বানানো হয় এই বিমানবন্দরটি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।