৩টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৫টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে টপকে যান শতরানের গণ্ডি। শেষমেশ ৭টি চার ও ১২টি ছক্কার সাহায্যে ৬৬ বলে ১২১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন মুরলি বিজয়। ওপেন করতে নেমে বিজয়ের এমন অসাধারণ ইনিংস সত্ত্বেও তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে ম্যাচ হারতে হয় তাঁর দল রুবি ত্রিচি ওয়ারিয়র্সকে।
সন্দেহ নেই আইপিএলের বড় মঞ্চে কামব্যাকের লক্ষ্য নিয়েই বিজয় দীর্ঘদিন পরে তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের আঙিনায় ফিরে আসেন। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন মুরলি। আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। তৃতীয় ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করেন বিজয়। ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৬১ রান করেন তিনি। এবার তাঁর ব্যাট থেকে এল বিধ্বংসী শতরান।
আরও পড়ুন:- TNPL 2022: দল হারলেও ঝোড়ো ইনিংসে মুরলি বিজয় বোঝালেন, এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি
বিজয় দুরন্ত ছন্দে থাকলেও ত্রিচি ওয়ারিয়র্স অবশ্য একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলেছে। শুক্রবার তাদের প্রতিপক্ষ ছিল নেল্লাই রয়্যাল কিংস। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তারা ২ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৬ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। সঞ্জয় যাদব ৬টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ বলে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাবা অপরাজিত ৫টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৯২ রান করে নট-আউট থাকেন।
আরও পড়ুন:- TNPL 2022: ৫টি ছক্কা আর ৩টি চারে ফর্মে ফিরলেন মুরলী বিজয়, তবে জিতল না দল
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ত্রিচি ওয়ারিয়র্স ৭ উইকেটে ১৭০ রানে আটকে যায়। ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান বিজয়। বাকিরা কেউ ১৫ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি। বাবা অপরাজিত ২টি উইকেটও নিয়েছেন। ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে রয়্যাল কিংস। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সঞ্জয় যাদব। ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে যেতে হয় বিজয়কে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।