বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। আর এই ম্যাচকে ঘিরে সাজ সাজ রব আমদাবাদে। এই ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। শেষ ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারতের জন্য। বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে ভারতকে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া জিতলে সিরিজ ড্র হবে।
তবে আমদাবাদের পিচ কেমন হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। গত ম্য়াচের পর ইন্দোরের পিচ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। ফলে আমদাবাদে কেমন হতে পারে ২২ গজ তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে বড় স্টেডিয়াম আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। ১ লক্ষ ৩২ হাজার দর্শক একসঙ্গে ম্যাচ দেখতে পারবে এখানে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম ছিল। এখন মেলবোর্ন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
২০১৩-১৪ মরশুমে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড অ্যাসেজ সিরিজে চতুর্থ ম্যাচে টেস্ট ম্যাচে মেলবোর্নে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক হয়। একটি টেস্ট ম্যাচের এক দিনে ৯১,১১২ দর্শক মাঠে উপস্থিত হন। যা এখনও পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচের ইতিহাসে রেকর্ড। তবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ এই ম্যাচ দেখতে উপস্থিত হতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ হিসাবে দেখানো হচ্ছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি। চতুর্থ ম্যাচের প্রথম দিন মাঠে উপস্থিত থাকবেন ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বোলার টড মার্ফি এত দর্শক আসন বিশিষ্ট স্টেডিয়ামে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। যা তাঁর মধ্যে আলাদা উত্তেজনার সৃষ্টি করছে বলে তিনি জানিয়েছেন। মার্ফি বলেন, ‘এই ম্যাচটা অনেক উত্তেজনাপূর্ণ হবে। আমার মনে হয় এইরকম সুযোগের জন্য প্রত্যেক ক্রিকেটার অপেক্ষা করে থাকে। প্রত্যেকের আশা থাকে যাতে এত দর্শকের সামনে নিজের সেরাটা দিতে পারে। এটা একটা আলাদা ব্যাপার। ম্যাচে দারুণ পরিবেশের সৃষ্টি হবে।’
অজি ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আমি অনেকদিন খুব বেশি সংখ্যক দর্শকের সামনে ম্যাচ খেলিনি। ভারতে আসার সময় আমি মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম ভারতীয় দর্শকদের সামনে খেলার জন্য। সফরের শুরুতে আমি জানতাম না দলে জায়গা পাব কিনা। তাই ভারতে আসার সময় এই সফরটাকে উপভোগ করার মানসিকতা নিয়ে এসেছি।’
তবে মার্ফি এই সিরিজের তিনটি ম্যাচই খেলেছেন। উইকেটও পেয়েছেন। এই বিষয়ে তরুণ স্পিনার বলেন, ‘প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে জয়ী দলের সদস্য হওয়া একটা আলাদা অনুভূতি। আমার জন্য এটা একটা অসাধারণ সফর। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার অনেক দিন মনে থাকবে। এখানে আমি যা যা শিখতে পেরেছি তার জন্য খুব গর্বিত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।