বাংলা নিউজ > ময়দান > U19 WC: কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলার কথাও বাড়িতে জানাননি, রবি কুমারের সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁর বাবার আত্মত্যাগ

U19 WC: কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলার কথাও বাড়িতে জানাননি, রবি কুমারের সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁর বাবার আত্মত্যাগ

রবি কুমার।

শনিবার আলিগড়ের ১৮ বছর বয়সী এই যুবক ৪ উইকেট নিয়ে ভারতকে পঞ্চমবারের মতো যুব বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আর ছেলের কৃতিত্বে গর্বিত তাঁর বাবা রাজিন্দর সিং, যিনি রয়েছেন সিআরপিএফে। সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের নতুন নায়ক হিসেবে রবি কুমারের আবির্ভাব তাঁর নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফল তো বটেই। সেই সঙ্গে তাঁর সিআরপিএফ বাবার আত্মত্যাগও জড়িয়ে রয়েছে আষ্টেপিষ্টে। যিনি তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময় দেশের সেবায় কাটিয়েছেন।

শনিবার আলিগড়ের ১৮ বছর বয়সী এই যুবক ৪ উইকেট নিয়ে ভারতকে পঞ্চমবারের মতো যুব বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আর ছেলের কৃতিত্বে গর্বিত তাঁর বাবা রাজিন্দর সিং, যিনি রয়েছেন সিআরপিএফে। সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে। রাজিন্দর এখন ওড়িশার মাওবাদী-প্রবণ রায়গড়া জেলার একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে নিযুক্ত রয়েছেন। তবে রবিবার সাফল্য আবেগপ্রবণ রাজিন্দর বলেছেন, ‘আমরা দেশকে রক্ষা করতে গুলি চালাই আর আমার ছেলে বোলিং করে দেশের সেবা করে।’

২০০৬ সালের শ্রীনগর গ্রেনেড হামলায় একজন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর আহত হয়েছিলেন ১১জন সৈন্য। ১১ জন সৈন্যের মধ্যে ছিলেন রাজিন্দরও। তিনিও বাজে ভাবে আহত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্কে ছেলে বা বাড়ির কাউকেই কিছু জানাননি তিনি। আসলে তখন রবি খুবই ছোট। তা ছাড়া রাজিন্দর তাঁর পরিবারের কাউকেই এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি। নিজের পরিবারকে কখনও-ই চিন্তায় রাখতে চাননি তিনি। যদিও পরে সকলে টিভি-তে দেখে বিষয়টি জানতে পেরেছিল। রাজিন্দর প্রায় পুরো জীবনটাই কাটিয়েছেন শ্রীনগরের জঙ্গি-অধ্যুষিত অঞ্চলে। কিন্তু পরিবারের লোকজনকে সব সময় নির্ভরতা দিয়ে গিয়েছেন। কোনও রকম আঁচ পরিবারের উপর তিনি আসতে দেননি।

গ্রেনেড হামলার ঘটনা মনে করে রাজিন্দর বলছিলেন, ‘আমি চেয়েছি যে ওরা যেন সব সময়ে খুশিতে থাকে। তাই আমার তীব্র যন্ত্রণার কথা কখনও পরিবারের কাউকে বলিনি। এমন কী যখন আমি আমার পায়ে এবং বাহুতে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছিল, তখনও আমি কিছু জানাইনি। ওর পরে টিভি থেকে জানতে পেরেছিল।’

রবির বাবা সিআরপিএফে চাকরি করায় বিভিন্ন রাজ্যে পোস্টিং হতো। কলকাতায় থাকাকালীন জন্মেছিলেন রবি কুমার। পরে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে চলে যান। সেখানেই টেনিস বলে ক্রিকেটে হাতেখড়ি তাঁর। ছোটবেলার কোচ অরবিন্দ ভরদ্বাজের পরামর্শে ক্রিকেটের জন্য আবার বাংলায় ফিরে আসেন। তাতেই জীবন গড়ে যায়। অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলে ডাক পান জন্মসূত্রে বাংলার ছেলে। বাকিটা ইতিহাস। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে রবির উদয় দেখল দেশবাসী।

বন্ধ করুন