ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়েই বিশ্বকাপ মিশনে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কিন্তু শুরুটা হতাশাজনক করল তারা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে সামনে পড়ল বাংলাদেশ দল। টপ অর্ডার-মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর শেষ ব্যাটার হিসেবে ব্যাটিংয়ের হাল ধরলেন রিপন মণ্ডল। দলের স্কোরকে তিন অঙ্কের কাছাকাছি নিয়ে গেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দশম উইকেটে রিপন মণ্ডল ও নাঈমুর রহমানের ৪৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ৩৫.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান করতে পেরেছে। রিপন যদি ব্যাটিং হাল না ধরত তাহলে ৫১ রানেই শেষ হত বাংলাদেশের ইনিংস।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দল। কিন্তু ব্যাটিং নেমেই ব্রিটিশ পেসারদের সামনে ভেঙে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ৮ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে পারেনি মিডল অর্ডার। টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা ঠিক কী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাটিং করলেন সেটি পরিষ্কার বোঝা গেলো না। ৫১ রানের মধ্যেই ৯ উিকেট হারায় বাংলাদেশের তরুণরা। শেষ ব্যাটার হিসেবে রিপন মণ্ডল ৪১ বলে ৩৩ রান না করলে বাংলাদেশের অন্তত ৪০ রান কম করত।
দলের হয়ে তিন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। আইচ মোল্লা (১৩), মেহরাব হাসান (১৪) এবং টেল অ্যান্ডার রিপন মণ্ডলের (৩৩) ব্যাটেই বাংলাদেশের স্কোর ৯৭ রানে পৌঁছাতে পেরেছে। বাকি ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ৫১ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ উইকেট পতনের অপেক্ষায় ছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু পাক্কা ১১ ওভার ব্যাটিং করলেন নাঈমুর-রিপন জুটি। নাঈমুর ২৭ বলে ১১ রান করেন। রিপন ৪১ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে খেলেন ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।