করোনার জন্য ক্যাপ্টেন যশ ধুল মাঠে নামতে পারেননি। আইসোলেশনে ভাইস ক্যাপ্টেন রশিদও। ক্যাপ্টেন বা ভাইস ক্যাপ্টেন বলেই যে দুই তারকা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এমনটা নয় কখনই। আসলে ফর্ম ও ধারাবাহিকতার নিরিখে যশ ও রশিদ এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যান।
সুতরাং, দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে ছাড়াই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুব বিশ্বকাপের ম্যাচে দল নামাতে হয় ভারতকে। খাতায়-কলমে ব্যাটিং শক্তি কমলেও, আইরিশদের বিরুদ্ধে ভারতকে জয় এনে দেন মূলত ব্যাটসম্যানরাই। দুই ওপেনার অংকৃষ ও হরনূরের গড়া শক্ত ভিতে বড় রানের ইমারত গড়েন রাজ-নিশান্ত-রাজবর্ধনরা।
ব্যাটসম্যানরা ঘাড়ের উপর বিশাল রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার পর চাপের মুখে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসকে ভাঙতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি ভারতীয় বোলারদের। দেখে নেওয়া যাক, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুব বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতকে জয় এনে দিতে মুখ্য ভূমিকা নেন কোন তিনজন ক্রিকেটার।
অংকৃষ রঘুবংশী: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছিলেন অংকৃষ। তবে দরকারের সময় আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে ৭৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। ৭৯ বলের আগ্রাসী ইনিংসে অংকৃষ ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
হরনূর সিং: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন হরনূর। তবে যুব এশিয়া কাপের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়ে আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, বিশ্বকাপ মাতাতে চলেছেন তিনি। সেই মতোই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০১ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন হরনূর। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি।
রাজবর্ধন হাঙ্গার্গেকর: বল হাতে বরাবর ভারতকে নির্ভরতা দেন রাজবর্ধন। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ৭ ওভার বল করে ২টি মেডেন-সহ মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন তিনি। তবে তার আগে ব্যাট হাতে ১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাজবর্ধন। মূলত তাঁর এমন আতশীয় ইনিংসের সুবাদেই ভারত তিনশো রানের গণ্ডি টপকাতে সক্ষম হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।