নাম যখন ‘বেবি এবি’ তখন সেই খেলোয়াড়ের দক্ষতাও চমকপ্রদ হওয়াটাই বাঞ্চনীয়। সাধারণত, শুরু থেকেই বড় নামের সঙ্গে তুলনায় অতীতে বহু তারকার কেরিয়ারই ভেসে গিয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস নিজে ভাসলেন না, বরং দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করলেন তার প্রতিভায়। দেখিয়ে দিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ভবিষ্যত কতটা উজ্জ্বল।
এবি ডিভিলিয়র্স মানেই দুরন্ত সব শট, অভাবনীয় দক্ষতা এবং সকলকে হা করে দেওয়ার দক্ষতা। ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমেই ব্রেভিসের ৬৫ রানের ইনিংসে সেইসবের সামান্য ঝলকমাত্র দেখা দিয়েছিল বটে, তবে অদূর ভবিষ্যতের সম্পূর্ণ আভাসটা পাওয়া যায়নি। ভাগ্য একটু সঙ্গ দিলে খুব সহজেই ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর নাগাড়ে শতরানের হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন ব্রেভিস। তবে তেমনটা হয়নি। উগান্ডার বিরুদ্ধে ১০৪ রানের ইনিংসের পর, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯৬ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯৭ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় ব্রেভিস।
ব্যাট হাতে গোটা টুর্নামেন্টে একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে (ছয় রান করেন) ব্যর্থ হন ‘বেবি এবি’। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সপ্তম স্থান দখলের ম্যাচে ১৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে বিশাল ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে সাহায্য করেন তিনি। এই ইনিংসের সুবাদেই প্রোটিয়া তরুণ শিখর ধাওয়ানের ১৮ বছর পুরনো সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিলেন। এতদিন ২০০৪ সালের বিশ্বকাপে শিখরের ৫০৫ রানই এক অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে কোনো ব্যাটারের করা সর্বাধিক রান ছিল। ব্রেভিস ২০২২ বিশ্বকাপ শেষ করলেন ৮৪.৩৩ গড়ে মোট ৫০৬ রান করে। শুধু তাই নয়, ছয় ম্যাচে বল হাতেও মোট সাতটি উইকেট নেন ১৮ বছরের ব্রেভিস। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শ্রীঘ্রই সিনিয়ার ক্রিকেটে আরও বেশি করে তার ঝলক পাওয়া যাবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।