অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যখন তিনি ব্যাট করতে নামেন, তখন তাঁর দল ৩৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। ১২.৩ ওভারের খেলাও হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় এক অসাধারণ শতরান করে দলের চাপের মুখ থেকে টেনে তোলেন যশ ধুল। সহ-অধিনায়ক শেখ রশিদের সঙ্গে তাঁর ২০৪ রানের পার্টনারশিপে ভর করেই অষ্টমবার অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট পাকা করে ভারত।
ম্যাচের পর ধুল বলেন বেশি হুড়োতাড়া না করে শেষ অব্দি ব্যাট করাটাই তাঁর ও রশিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি এবং রশিদ শেষ অব্দি ব্যাট করার পরিকল্পনা করেছিলাম। পরিকল্পনা করেছিলাম বেশি তাড়াহুড়ো করে, একগাদা শট না খেলে ধীর স্থিরভাবে ৪০ ওভারের বেশি সময় পর্যন্ত আমরা ব্যাট করব।’ সেই পরিকল্পনায় সফলও হন দুইজনে। পরপর দুই বলে দুইজনে আউট হলেও ৪৫.৫ ওভার পর্যন্ত রশিদ এবং ধুল একসঙ্গে ব্যাট করতে সক্ষম হন।
তবে ধুল শতরান করলেও, ৯৪ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় রশিদকে। নিজের সহ-অধিনায়কের সঙ্গে ব্যাট করে যে তিনি সবসময়ই পছন্দ করেন, তা সাফ জানিয়ে দেন ধুল। ‘আমি এবং রশিদ, একসঙ্গে ভাল ব্যাট করি। রশিদ মানসিকভাবে খুবই মজবুত। বাবলেও আমরা একসঙ্গে ছিলাম। মানসিকভাবে ও সবকিছুর জন্য সবসময় প্রস্তুত।’দাবি ধুলের।
সেমিতে ১১০ রানের ইনিংস খেলেই ধুল এক এলিট লিস্টে নিজের নাম তুলে নিয়েছেন। বিরাট কোহলি এবং উন্মুক্ত চাঁদের পর, তিনি তৃতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসাবে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে শতরান করেছেন। ঘটনাক্রমে, কোহলি এবং চাঁদের মতো, ধুলও দিল্লিরই বাসিন্দা। এমন এক দুর্ধর্ষ লিস্টে জায়গা পেয়ে ‘গর্বিত’ বলেই দাবি করেন ধুল। ফাইনালের খেতাবি ম্যাচে এবার ধুলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।