কোয়ার্টার ফাইনালে যথাক্রমে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে আগেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। সেন্ট জন্সে পঞ্চম স্থান নির্ধারণের ম্যাচে মুখোমুখো দুই দেশ। সেই ম্যাচে ২১ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে সহজেই বাংলাদেশ হারিয়ে দিল পাক দল।
বাংলাদেশের ম্যাচের শুরুতেই মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুটা একেবারেই ভাল করেনি। তবে এরপর বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন আরিফুল ইসলাম। গত দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে তেমন বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন আরিফুল। তবে এই ম্যাচেই দ্রুতই ছন্দ পেয়ে যান তিনি। ইফ্তাখের হোসেন ও আরিফুল ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও ইফ্তাখের রান আউট হন।
ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন আরিফুল। একদিকে যখন উইকেটের ঝুড়ি লেগেছে, অপরদিকে সেখানে আরিফুল নিজের ধৈর্য বজায় রেখে ব্যাট করা চালিয়ে যান। আওয়েস আলির এক ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ৯০-এ পৌঁছন বাংলাদেশি ব্যাটার। ১১৮ বলে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। ১৭ বছর বয়সী আরিফুলের সৌজন্যেই বাংলাদেশ ১৭৫ রান তোলে। পাকিস্তানের হয়ে মেহরান মুমতাজ ১৬ রানের বদলে তিন উইকেট নেন।
জবাবে হাসিবুল্লাহ খান এবং মহম্মদ শেহজাদ ১৯ ওভারে ৭৬ রান করে পাকিস্তানকে জয়ের ভিত গড়ে দেন। তবে শেহজাদ ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হন। ইরফান খান ২৪ রান করার করলেও কাসিম আক্রম এক রানে আউট হন। তবে চারটি চার ও সমসংখ্যক ছক্কা হাঁকিয়ে ৭৮ রানের একটি ঝাঁ চকচকে ইনিংস খেলেন হাসিবুল্লাহ। তিনি আউট হলে আব্দুল ফাসিহ অপরাজিত ২২ রান করে বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন। সহজেই ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।