একসঙ্গে সাতজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল বিমানবন্দর থেকেই। রবি কুমার, অংকৃষ রঘুবংশীরাও ছিলেন এই দলে, যাঁরা ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। শেষমেশ বুঝিয়ে সুঝিয়ে সাত ক্রিকেটারের দেশে ফেরা আটকানো না গেলে এবারের মতো ভারতের যুব বিশ্বকাপ জয় সম্ভব হতো কিনা সন্দেহ। মাঠে ১১ জনের দল নামানোই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াত তখন।
আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছনোর পর করোনা ভ্যাকসিন না নেওয়া সাতজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে বিমানবন্দর থেকেই দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় বিমানবন্দর সংলগ্ন হোটেলে আটকে থাকার পর সরকারি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এক্ষেত্রে বিসিসিআই, আইসিসি ছাড়াও ভারত ও ত্রিনিদাদ সরকারের সহযোগীতা পায় ভারতীয় দল।
ভারতে তখনও ১৫-১৮ বছর বয়সীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই রবি কুমারদের বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি। দুবাই থেকে আমস্টারডাম হয়ে পোর্ট অফ স্পেনে পৌঁছে ভারতীয় দলকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি। ভারতের টিম ম্যানেজার লবজাং জি তেনজিং সামনে আনলেন এমন বিপত্তির কথা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তেনজিং বলেন, ‘পোর্ট অফ স্পেনে পা দেওয়ার পর ওখান থেকে গায়ানা রওনা দেওয়ার জন্য চার্টার্ড বিমান নিতে হয়েছিল। তবে ভ্যাকসিন না নেওয়ায় আমাদের সাতজন ছেলেকে আটকে দেওয়া হয়। অভিবাসন আধিকারিকদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করি যে, ভারতে তখনও এই বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়নি। তবে কোনও কথা না শুনে আমাদের পরের বিমানেই ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা পালিয়ে যাই, সেকথা ভেবেই নিরাপত্তরক্ষীরা আমাদের ঘিরে রেখেছিল। ভাগ্য ভালো সেদিন ফেরার আর একটিমাত্র বিমান ছিল। পরের বিমান ছিল তিন দিন পরে। সেকারণেই আমরা আলোচনার সময় পেয়ে যাই। আমি ছেলেদের সঙ্গে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। বিমানবন্দরের কাছেই একটা ঘুপচি হোটেলে রাত কাটাতে হয়। শেষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইসিসির হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে যায়।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।