মরশুমের মাঝপথে ক্লাব কিংবদন্তি ও সমর্থকদের পছন্দের ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে ছেঁটে ফেলে নিজের মনোভাব আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন চেলসি মালিক রোমান এব্রামোভিচ। মরশুম শেষে তাঁর সেই কঠোর সিদ্ধান্তেরই ফের সুফল পেল চেলসি।
২০০৩ সালে যখন রাশিয়ান ব্যবসায়ী পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবকে কেনেন, তখন বড়জোড় একটি মাঝারি মানের দল ছিল চেলসি। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পরই শুরু হয় চেলসির এক গৌরবময় অধ্যায়, যা বর্তমানেও অব্যাহত।
সাফল্য এবং শুধুমাত্র সাফল্যই এব্রমোভিচের মূল মন্ত্র। তাই পরপর দুই মরশুমে ট্রফি জিতেও চাকরি যায় অ্যান্তোনিও কন্তের, আগের মরশুমেই তরুণ দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করানোর পরেও বরখাস্ত হন ল্যাম্পার্ড।
দলের স্বার্থে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে তারকা ফুটবলারদের দলে নিতে বেশি ভাবেন না এই রাশিয়ান ব্যবসায়ী। তাই তো গত গ্রীষ্মেই দলকে মজবুত করতে ২২০ মিলিয়নের আশেপাশে খরচ করেন তিনি। জানুয়ারি মাসে ল্যাম্পার্ডকে বরখাস্ত করার পরে এক সাক্ষাৎকারে এব্রামোভিচ জানান, ‘আমার মনে হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিক থেকে আমরা সবসময় তৎপর। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে আমরা পিছপা হই না। আশা করি এই সিদ্ধান্ত আমাদের গৌরবাকাঙ্ক্ষারই পরিচয় দেবে।’
তাৎক্ষণিক সাফল্য লাভের জন্য ধৈর্যের অভাবের ফলে চেলসির একাধিকবার কোচ পরিবর্তনকে অনেকেই ভালভাবে দেখেন না। সাফল্যের জন্য তো সময় প্রয়োজন, একটা প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। ঠিক যেমন লিভারপুলে জুরগেন ক্লপ করে দেখিয়েছেন। তবে যে কোন লক্ষ্যে পৌঁছানোরই দু'টি পথ থাকে। রোমানের ব্যতিক্রমী পথ যে এখনও অবধি কতটা সফল তা মালিক হিসাবে তাঁর ১৭ নম্বর ট্রফি জয়ের মাধ্যমেই বোঝা যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।