ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতায় প্রতি বছরই রচিত হয় একাধিক নতুন রূপকথার গল্প। এ বছরের গল্পটা চেলসির গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডিকে ঘিরে। সেনেগাল গোলকিপারের ইউরোপ সেরা হওয়ার গল্পটা হলিউড ছবির মতোই নাটকীয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জয়ের আলোর জাঁকজমক থেকে মাত্র সাত বছর আগেই অনেক দূরে ছিলেন সেনেগালের গোলকিপার। ফ্রান্সের বিখ্যাত লে হাভরে অ্যাকাডেমিতে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন মেন্ডি। এই অ্যাকাডেমি থেকেই পল পোগবা, রিয়াদ মাহারেজের মতো তারকারাও নিজেদের যাত্রাপথ শুরু করেন। তবে মাত্র ২২ বছর বয়সে ফরাসি চতুর্থ ডিভিসন দল চেবুর্গের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফুটবল খেলাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল মেন্ডির।
সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একবার এক সাক্ষাৎকারে মেন্ডি জানান ওই সময়ে তাঁর এজেন্টও ফোনে একটিমাত্র ম্যাসেজ করে তাঁর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন। গোটা কেরিয়ার জুড়েই তাঁর প্রশ্নচিহ্ন উঠে যায়। এমন অবস্থায় পুরনো দল লে হাভরেতে একটা গোটা মরশুম কোনরকম পারিশ্রমিক ছাড়াই নিজের ট্রেনিং চালিয়ে যান মেন্ডি। এক বছর পর মার্সের চতুর্থ গোলকিপার হিসাবে যোগ দেন ছয় ফুট ছয় ইঞ্চির বিশাল গোলকিপার।
তবে ২০১৬ সালে সালে লিগ টু দল রেইমসে যোগদানই তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরুিয়ে দেয়। সেখান থেকে রেন হয়ে এ মরশুমে চেলসি দলে যোগ দেন মেন্ডি। প্রিমিয়র লিগে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চেলসির হয়ে একের পর এক ক্লিনশিট রেখে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন ব্লুজ কিংবদন্তী পিটার চেকের বাছাই করা গোলরক্ষক।
মরশুম শেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি হাতে সমস্ত আলোর কেন্দ্রবিন্দু সেই মেন্ডিই। তবে শুধু যে তিনি খেতাব জিতলেন তাই নয়, ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতা জিতলেন নজির গড়ে। ফাইনালে ম্যাঞ্স্টার সিটির বিরুদ্ধে ক্লিনশিট রাখার সুবাদে এক মরশুমে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যুগ্মভাবে সর্বাধিক (৯) ক্লিনশিট রাখার নজিরও এখন তাঁর দখলে। ফুটবল বারংবার রূপকথার জন্ম দেয়। বেকারত্ব থেকে ইউরোপ সেরা হওয়ার মেন্ডির যাত্রপথটাও কোন রূপকথার থেকে কম নয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।