টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আরসিবি। কিন্তু এ দিন ফের চূড়ান্ত ব্যর্থ হন স্মৃতি মন্ধানা। সোফি ডিভাইন তাও ২৪ বলে ৩৬ করেন। তবে দলকে যেটুকুু অক্সিজেন দেওয়ার দেন এলিস পেরি। ৩৯ বলে ৫২ রান করেন পেরি। বাকিরা কেউ সে ভাবে ক্রিজে টিকতেই পারেননি। ১৫ রানের বেশি আর কেউ স্কোর করতে পারেননি। এমন কী পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি আরসিবি। ১৯.৩ ওভারে তারা করে মাত্র ১৩৮ রান। ইউপি-র সোফি একলেস্টোন ৪ উইকেট নিয়েছেন। দীপ্তি শর্মা নিয়েছেন ৩ উইকেট।
১৩৯ রান তাড়া করতে নেমে দায়িত্ব নিয়ে একাই ম্যাচ বের করে দেন ইউপি ওয়ারিয়র্জের অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। একাই ৪৭ বলে ৯৬ করেন হিলি। ৩১ বলে ৩৬ করে তাঁকে সঙ্গত করেন দেবীকা বৈদ্য। ১৩ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই ১৩৯ করে ফেলে ইউপি।
১৩ ওভারে ১০ উইকেটে জয় ইউপি-র
১৩ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৩৯ রান করে ফেলে ইউপি। ৪৭ বলে ৯৬ রান অ্যালিসা হিলির। দেবীকা ৩১ বলে ৩৬ করেন। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ইউপি।
১০ ওভারে ১০০ পার আরসিবি-র
১০ ওভারে ১০০ পার করে গেল আরসিবি। ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১০৩ রান ব্যাঙ্গালোরের। ৩৬ বলে ৬৮ রান করেছেন অ্যালিসা হিলি। দেবীকা করেছেন ২৪ বলে ২৮ রান।
নবম ওভারে হল ১৮ রান
নবম ওভারের শেষ চার বলে চারটি চার হাঁকান অ্যালিসা হিলি। এই ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গল নিয়ে তিনি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় বলে দেবীকা বৈদ্য ১ রান করেন। এর পরের চারটি বলে পরপর চার মারেন হিলি। মোট ১৮ রান হয় ওভারে। তার মধ্যে ১৭ রান একাই করেছেন হিলি। ৯ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৯৭ রান আরসিবি-র। ৩৩ বলে ৬৬ রান অ্যালিসা হিলির। ২১ বলে ২৬ রান দেবীকা বৈদ্যর।
হাফসেঞ্চুরি করে ফেলল হিলি
স্মৃতি মন্ধানা ফর্মে না ফিরলে কী হবে, অ্যালিসা হিলি কিন্তু এ দিন ঝড় তুলে ছন্দে ফিরলেন। মাত্র ২৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। ৮.১ ওভারে ১ রান নিয়ে ৫০ করেন হিলি।
পাওয়ার প্লে-তে হল ৫৫ রান
৬ ওভার শেষে ৫৫ রান ইউপি ওয়ারিয়র্জের। ২১ বলে ৩৮ করে ফেলেছে অ্যালিসা হিলি। দেবীকা বৈদ্য ১৫ বলে করেছেন ১৬ রান।
৩ ওভারে হল ৩২ রান
ঝোড়ো শুরু করল ইউপি। প্রথম তিন ওভারে হল ৩২ রান। দেবীকা ৮ বলে ১৩ করেছেন। অ্যালিসা করেছেন ১০ বলে ১৯ রান। শুরুতেই কিন্তু হারের ভ্রুকুটি ব্যাঙ্গালোরের সামনে।
রান তাড়া করা শুরু ইউপি-র
ইউপি-র হয়ে ওপেন করতে নেমেছে দেবীকা বৈদ্য এবং অ্যালিসা হিলি। ১৩৯ রান তাদের টার্গেট। খুব বেশি নয়। তাই রান তাড়া করে জেতাটা কঠিন কাজ হবে না ইউপি-র। যদি না ব্যাঙ্গালোরের বলে দুরন্ত বল করে গুঁড়িয়ে দেন তাদের। চার নম্বর ম্যাচ হারের হার থেকে বাঁচতে আরসিবি-র বোলারদের ভালো বল করতে হবে।
শেষ ওভারে জোড়া উইকেট পড়ল, ১৩৮ রানে অলআউট আরসিবি
শেষ ওভারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে পরপর ২ উইকেট তুলে নেন একলেস্টোন। প্রথমে ৮ বলে ৩ করে বোল্ড হন রেনুকা। আর সাহানা প্রথম বলেই শূন্যতে এলবিডব্লিউ হন। পুরো ২০ ওভারও তাই খেলতে পারেনি ব্যাঙ্গালোর। ১৯.৩ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে তারা।
রিচা রানআউট
ব্যাড লাক রিচার। প্রথম বলেই ১ করে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। অষ্টম উইকেট পড়ল ব্যাঙ্গালোরের। ১৮ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান আরসিবি-র।
১৭তম ওভারে জোড়া উইকেট আরসিবি-র
১৭তম ওভারে জোড়া উইকেট নেয় ব্যাঙ্গালোর। ওভারের দ্বিতীয় বলে এলিস পেরিকে আউট করেন দীপ্তি। এবং পঞ্চম বলে তিনি ফেরান এরিনকে। ৩৯ বলে ৫২ করে তাহিলার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এলিস। আর ৯ বলে ১২ করে বোল্ড হন এরিন। ১৭ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৩৭১ রান ব্যাঙ্গালোরের।
শ্রেয়াঙ্কা আউট
শ্রেয়াঙ্কা পাটিল ১০ বলে ১৫ করে সাজঘরে ফিরলেন। ১৪.৪ ওভারে একলেস্টোনের বলে অঞ্জলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শ্রেয়াঙ্কা। ১৫ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১১৭ রান ব্যাঙ্গালোরের। ৩৬ বলে ৫১ রান এলিস পেরির। শ্রেয়াঙ্কার পরিবর্তে নামা এরিন বার্নস ২ বল খেলে ১ রান করেছেন।
এলিস পেরি হাফ-সেঞ্চুরি
৩৫ বলে ৫০ পূর্ণ করেন এলিস পেরি। তিনিই একমাত্র ব্যাঙ্গালোরের হাল ধরে রেখেছেন। ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৪ রান আরসিবি-র। ৩৫ বলে এলিসের ৫০ বাদে শ্রেয়াঙ্কা ৭ বলে ১৪ রান করেছেন।
চতুর্থ উইকেট পড়লেও ১৩তম ওভারে ১০০ পার ব্যাঙ্গালোরের
হেদার নাইটের ব্যাড লাক। মাত্র ২ রান করে রানআউট হলেন তিনি। তবে ১৩তম ওভারে আরসিবি চার উইকেট হারালেও ১০০ রানের গণ্ডি পার করল। ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১০৪ রান আরসিবি-র। ৩৩ বলে ৪৯ করে লড়াই চালাচ্ছেন এলিস পেরি। হেদারের পরিবর্তে নামা শ্রেয়াঙ্কা ৩ বলে ৫ রান করেছেন।
কনিকা আউট
১১ ওভারের শেষ বলে তৃতীয় ধাক্কা খেল ব্যাঙ্গালোর। দীপ্তি শর্মার বলে আউট হলেন কনিকা। ৮ রান করে অঞ্জলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। ১১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৮৫ রান আরসিবি-র। ২৬ বলে ৩৭ করে ক্রিজে আছেন এলিস।
১০ ওভারে ব্যাঙ্গালোরের সংগ্রহ ৮১/২
সোফি আউট হতেই রানের গতি কমে গেল ব্যাঙ্গালোরের। ২ উইকেট হারিয়ে ৮১ করেছে তারা। ২৪ বলে ৩৬ করেছেন এলিস পেরি। কনিকার সংগ্রহ ৬ বলে ৫ রান।
দ্বিতীয় উইকেট হারাল আরসিবি
সোফি ডিভাইন আউট। দ্বিতীয় উইকেট পড়ল ব্যাঙ্গালোরের। এ দিন দুরন্ত ছন্দেই শুরু করেছিলেন সোফি। কিন্তু ২৪ বলে ৩৬ করে আউট হয়ে যান তিনি। ৮.২ ওভারে একলেস্টোন বোল্ড করে তাঁকে। ৯ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান আরসিবি-র। ২১ বলে ৩৪ করে লড়াই চালাচ্ছেন এলিস পেরি। সোফির পরিবর্তে নেমে কনিকা ৩ বলে ৩ করেছেন।
৫০ পার আরসিবি-র
পাওয়ার প্লে-তে ৫০ পার করে ফেলল আরসিবি। সৌজন্যে সোফি ডিভাইন এবং এলিস পেরি। ১৮ বলে ৩১ করে ফেলেছেন সোফি। এলিস পেরির সংগ্রহ ১৮ বলে ৩১ রান। আরসিবি-র স্কোর ১ উইকেটে ৫৪ রান।
দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে আউট স্মৃতি
দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে আউট হলেন স্মৃতি মন্ধানা। ৪.১ ওভারে ৬ বলে ৪ করে আউট হন স্মৃতি। রাজেশ্বরীর বলে অঞ্জলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্মৃতি। ৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩০ রান আরসিবি-র। ১৫ বলে ২৫ করেছেন সোফি। স্মৃতির পরিবর্তে নেমে এলিস পেরি ৩ বল খেলে ১ রান করেছেন।
খেলা শুরু
সোফি ডিভাইন এবং স্মৃতি ওপেন করেছেন। স্মৃতির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ যেমন দলকে জেতানো, তেমনই নিজের ক্ষেত্রেও ছন্দে ফেরাটা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
ইউপি-র প্রথম একাদশ
অ্যালিসা হিলি (অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক), শ্বেতা সেরাওয়াত, কিরণ নভগিরে, তালিয়া ম্যাকগ্রা, দীপ্তি শর্মা, গ্রেস হ্যারিস, দেবীকা বৈদ্য, সিমরান শেখ, সোফি একলেস্টোন, অঞ্জলি সারভানি, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়।
আরসিবি-র প্রথম একাদশ
আরসিবি দলে তিনটি পরিবর্তন করেছে।একাদশ: স্মৃতি মন্ধানা (অধিনায়ক), সোফি ডিভাইন, এলিস পেরি, রিচা ঘোষ (উইকেটরক্ষক), হেদার নাইট, কণিকা আহুজা, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল, ইরিন বার্নস, কোমল জানজাদ, রেনুকা সিং ঠাকুর, সাহানা পাওয়ার।
টস জিতল আরসিবি
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিল। ব্য়াঙ্গালোর এবং ইউপি ওয়ারিয়র্জ দুই দলই আজ জয়ে ফিরতে মরিয়া। তবে ইউপি-র হাল আরসিবি-র মতো ততটা খারাপ নয়। স্মৃতিরা হারের হ্যাটট্রিক করেছে, সেখানে ২ ম্যাচের মধ্যে একটিতে জিতেছে ইউপি, একটি ম্যাচ হেরেছে।
জয়ে ফিরতে মরিয়া ইউপি
প্রথম ম্যাচে দুরন্ত লড়াই করে জিতলেও, দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ে ইউপি ওয়ারিয়র্জ। তবে তারা গত ম্য়াচে অবাক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদের আগের ম্যাচের নায়ক গ্রেস হ্য়ারিসকেই একাদশে রাখেনি। এই ম্যাচে তাঁকে একাদশে ফেরানো হয় কী না, সে দিকে নজর রাখতে হবে। ইউপি-র হয়ে গত ম্য়াচে ব্যাট হাতে একলা লড়াই চালিয়েছেন তাহিলা ম্যাকগ্রা। মাত্র ৫০ বলে ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। যদিও তাঁর ইনিংসও ম্যাচ জেতানোর জন্য় যথেষ্ঠ ছিল না। শেষ অবধি ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হয়। টপ অর্ডার ভালো শুরু দিতে পারলে ইউপি ওয়ারিয়র্জ এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতেই পারে।
স্মৃতি এবং তাঁর দল সাফল্যের অপেক্ষায়
আজ ইউপি ওয়ারিয়র্জের বিরুদ্ধে অবশ্যই সকলের নজর থাকবে স্মৃতি মন্ধানার দিকে। তিনি নিজে প্রথম তিনটি ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। সঙ্গে তাঁর দলও ব্যর্থ হয়েছেন। নেতৃত্বের কারণেই কি তাঁর ব্য়াটিংয়ে প্রভাব পড়েছে? এমনটা যদিও হওয়ার কথা নয়। জাতীয় দলে সহ অধিনায়ক তিনি। হরমনপ্রীতের অনুপস্থিতিতে জাতীয় দলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একটা বড় ইনিংস খেললেই রানের খরা তাঁর কাটবে। আর তারই অপেক্ষায় আরসিবি সমর্থকেরা। এ ছাড়া আরসিবি শিবিরে এই ম্যাচে বাড়তি নজর থাকবে সোফি ডিভাইন এবং হেদার নাইটের দিকেও। দু'জনেই জাতীয় দলের অধিনায়ক। সোফি নিউজিল্য়ান্ড এবং হেদার ইংল্য়ান্ডের। গত ম্য়াচে ২০২ রান তাড়া করতে নেমে সোফি ডিভাইন অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন। তেমনই শেষ দিকে আশা জাগিয়েছিলেন হেদার নাইটও। শেষ ওভারে প্রথম বল থেকে তিনি স্ট্রাইকে থাকলে হয়তো ম্যাচের রং বদলে যেতে পারত। তেমনই আনক্যাপড ভারতীয় প্লেয়ার শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের দিকেও নজর থাকবে। মূলত অফস্পিনার হলেও, তাঁর ব্য়াটিং দক্ষতা গত দু'ম্য়াচেই দেখা গিয়েছে। যদিও লোয়ার অর্ডারে নামায় এখনও নিজেকে সে ভাবে মেলে ধরতে পারেননি।