হোঁচট খেলেন, উঠে দাঁড়ালেন, ম্যাচ জিতলেন। এবারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে এটা যেন নোভাক জকোভিচের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছে। চার সেটের লড়াইয়ে কোয়ার্টারে এ বছর উইম্বলডন ফাইনালের প্রতিপক্ষ মাতেও বেরেত্তিনিকে আবারও হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পাকা করলেন ‘জোকার’। প্রতিপক্ষ, স্টেজ, ইতিহাসের হাতছানি, কোনকিছুই যেন জকোভিচের নিজের লক্ষ্য থেকে টলাতে পারছে না।
বছরের বাকি তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইতিমধ্যেই তাঁর পকেটে, ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্ল্যামের সুযোগ কারুর রোজ রোজ আসে না। ১৯৬৯ সালের পর থেকে পুরুষ বিভাগে এই কৃতিত্ব কারুর নেই। উপরন্তু, রয়েছে ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে একচ্ছত্রভাবে সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী হওয়ার নজিরের হাতছানি। তবে সেরাদের হয়তো বাকিদের থেকে আলাদা করে তাঁদের চাপের মধ্যেও নিজের সেরাটা দেওয়ার ক্ষমতা, দৃঢ় মানসিকতা ও হার না মানা মনোভাব।
গোটা বছর জুড়েই জকোভিচের খেলায় সবকয়টির উপস্থিতি ধরা পড়েছে। নয়তো এ বছর স্ল্যামে নবম বার ও শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেই নাগাড়ে তৃতূীয়বার পিছিয়ে পড়েও কি কেউ ফিরে আসতে পারে । ইতালিয়ান বেরেত্তিনি জোকারকে কড়া টক্কর দেবেন বলে সবাই আশা করছিল। প্রথম সেট ৫-৭ জিতে সেই আশা ত্বরান্বিত করেন ইতালিয়ান। তবে ৬-২, ৬-২. ৬-৩ পরের তিন সেটে দাপুটে জয় জকোভিচ প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর। ইতিহাস গড়তে তাঁর সামনে আর মাত্র বাকি দু'ধাপ। সেমিফাইনালে জোকারের রাজ্যে আধিপত্য স্থাপন করার চ্যালেঞ্জ জানাবেন আলেকজান্ডার জেরেভ।
চতুর্থ বাছাই জেরেভ দক্ষিণ আফ্রিকান লয়েড হ্যারিসকে ৭-৬ (৬), ৬-৩, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছান। গত বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেন খেতাব থেকে একধাপ আগেই থামতে হয়েছিল জার্মান টেনিস তারকাকে, এবার নিশ্চয়ই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে মরিয়া হবেন তিনি। তবে আর্থার অ্যাশে হ্যারিসের এনার্জির থেকেও জকোভিচের বুদ্ধিমত্তা ও মানসিকতা যে জেরেভকে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে, সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।