ইতিহাস তৈরির আশায় যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে নামা নোভাক জকোভিচের সফর সম্পূর্ণ মসৃণ কাটেনি। গত তিন রাউন্ডে ধাক্কা খেলেও ম্যাচ জিতে বছরের চতুর্থ গ্র্যান্ড স্ল্য়াম জেতার স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছিলেন জকোভিচ। চতুর্থ ওয়াইল্ড কার্ড হিসাবে টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাওয়া জেনসন ব্রুক্সবির বিরুদ্ধেও একই ছবি ধরা পড়ল।
প্রথম সেটে অবিশ্বাস্যভাবে বিশ্বের এক নম্বর তারকাকে ১-৬ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে আর্থার অ্যাশে ফের একবার নক্ষত্রপতনের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ব্রুক্সবি। যুক্তরাষ্ট্র তারকার সঙ্গী হিসাবে ছিল সমর্থকদের সাপোর্ট। তবে ম্যাচ গড়ালে জকোভিচ প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর। প্রথম সেট হেরে চেনা ছন্দে ফেরার পর সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে হুঙ্কার ও ২০ বছরের তরুণের দিকে তাকানোই প্রমাণ করে দিচ্ছিল প্রথম সেট হারের মাশুল জকোভিচ সুদে আসলে তুলে আদায় করে নিতে বদ্ধপরিকর।
পরের তিন সেটেই আমেরিকান তরুণের প্রথম সার্ভ ব্রেক করেই মনোবলে আঘাত হানতে সক্ষম হন ‘জোকার’। ফলাফল যা হওয়ার তাই। ৬-৩, ৬-২, ৬-২ ব্যবধানে নাগাড়ে তিন সেট জিতে একচ্ছত্রভাবে সর্বোচ্চ ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের দিকে আরও এক পা এগিয়ে গেলেন সার্বিয়ান তারকা। প্রসঙ্গত, ব্রুক্সবির পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে আমেরিকান প্রতিনিধিত্বও শেষ হয়ে গেল। ১৮৮০ সালের পর এই প্রথম আয়োজক দেশের পুরুষ বা মহিলা কোন টেনিস খেলেয়াড়ই টুর্নামেন্টের শেষ আটে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হলেন।
প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামের চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছানো ব্রুক্সবি, ম্যাচ হারলেও প্রমাণ করে দেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ছয় ফুট চার ইঞ্চির আমেরিকান তারকাকে ম্যাচের কোন সময়ই এত বড় স্টেজে বিশ্বের এক নম্বর তারকার বিরুদ্ধে খেলায় নার্ভাস লাগেনি। তবে অবশেষে জকোভিচের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাই তাঁকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। কোয়ার্টার ফাইনালে জোকার মুখোমুখি হবেন এ বছরের উইম্বলডন ফাইনালের প্রতিপক্ষ ও বিশ্বের ছয় নম্বর টেনিস তারকা, ইতালিয়ান মাতেয়ো বেরেত্তিনির।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।